রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে সড়ক ছাড়েন শ্রমিকরা
ব্যাটারিরিকশা শ্রমিকদের ৬ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: দাবি আদায়ে রোববার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ৬ ঘণ্টা পর সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা শ্রমিকরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে সড়ক ছেড়ে চলে যান তারা। এরআগে ব্যাটারি রিকশার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবিতে বেলা ১২টায় নগরের চৌহাট্টা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন শ্রমিকরা। রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন, সিলেট জেলার আহ্বানে এই বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এসময় নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অন্যদিকে সিলেটের সচেতন মহলের পক্ষ থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধে চাপ রয়েছে প্রশাসনের উপর।
জানা যায়, সিলেট নগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও বিচ্ছিন্নকৃত বিদ্যুৎ লাইন পুনঃসংযোগসহ ১১ দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকালে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সমাবেশ করেন রিকশা শ্রমিকরা। এরপর মিছিল নিয়ে এসে চৌহাট্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকরা। দীর্ঘ সময় সড়ক অবরোধের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে অন্য সড়কে যানজট লেগে যায়। এদিকে, শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে রাখায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও সেনা সদস্য চৌহাট্টা এলাকায় অবস্থান নেয়। দীর্ঘ সময় দুপক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে থাকায় ওই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভ চলাকালে বিকেলে শ্রমিক নেতাদের একটি পক্ষ সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে অবরোধস্থলে ফিলে এসে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক মাসরুখ জলিল বলেন, পুলিশ কমিশনারের সাথে দেখা করে আমরা আমাদের ১১ দফা জানিয়েছি। কমিশনার দাবি পূরণে সময় চেয়েছেন। আমরা রোববার পর্যন্ত তাদের সময় দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে দাবি পুরণ না হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবো।
চলতি বছরের গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরীর উদ্যোগে পরিচালিত এই অভিযানে বহু রিকশা জব্দ ও একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপর থেকে নগরে ব্যাটারি রিকশা চলতে দেওয়া হচ্ছে না।




