কলেজ ছাত্রকে ফাঁসানোর চেষ্টা ॥ এসএমপির ৩ কনস্টেবল বরখাস্ত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ৪:২৬:৫১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিলেটে এক কলেজ ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে পুলিশের তিন কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনজনই সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি’র) পুলিশ লাইন্সে কর্মরত ছিলেন। বরখাস্তকৃতরা হলেন মো. ঝুনু হোসেন জয়, ইমরান মিয়া ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সুদীপ দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ লাইন্সের একজন এডিসির তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তাই তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নগরীর মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮) গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সাথে নিয়ে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে ঝাপটে ধরেন। তারা তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন। তখন সাইফুর রহমান আসাদ এর প্রতিবাদ করেন এবং পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরাণ থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকার বিনিময়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তবে, ওই কলেজ ছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইন্সের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের স্মারক এসএমপি-১৬০ /এডিসি (ফোর্স) তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এর পরই তাদের তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।