মৌলভীবাজারে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৬:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন
হোসাইন আহমদ, মৌলভীবাজার থেকে : শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে হাওর ও চা বাগান অধ্যুষিত মৌলভীবাজারে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ঠান্ডাজনিত রোগের কারণে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ রোগীকে সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। হাসপাতালের বেডে রোগীদের জায়গা না থাকায় মেঝেতে হচ্ছে রোগীর ঠাঁই।
সরজমিনে গত সোমবার রাতে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে দেখা যায়, সেখানে রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীর জন্য বেড রয়েছে ৫৬ টি। সেখানে সোমবার সকালে ৭৪ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। তবে বিকাল পর্যন্ত ১৪ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়ে চলে যান। ২২ জানুয়ারি হাসপাতালে রোগী ছিল ৬৯ জন এবং ২১ জানুয়ারি ৬৪ জন রোগী ছিল। প্রতিদিনই ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান সেখানকার কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স সিগ্ধা দে। তিনি বলেন, বিশেষ করে বয়স্ক রোগীরা শ^াসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় করোনা ওয়ার্ডে রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। তারপরও সবাইকে বেড দিতে পারছি না।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ২৪ জানুয়ারি সকাল পর্যন্ত জেলার হাসপাতালগুলোতে ২৪ ঘণ্টায় ঠান্ডাজনিত রোগ ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ জন। এছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। মৌলভীবাজার সদর হাসপতালের সহকারী-পরিচালক ডা: বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, সদর হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে বয়স্ক রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। হাসপাতালের স্টাফরা রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন।
সিভিল সার্জন ডা: চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, ঠান্ডায় ডায়রিয়াজনিত রোগের সংখ্যা বেড়েছে। তবে সেটি খুব একটা নয়। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে হওয়ায় রোগীর সংখ্যা কম বলে জানান তিনি।