বাংলাদেশে ঢুকতে পারবে না আরও ৬৯ রুশ জাহাজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:০৯:১০ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাশিয়ার আরও ৬৯টি বাণিজ্যিক জাহাজ মোংলা বন্দরে পণ্য নিয়ে আসতে পারবে না। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এস এম মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত চিঠিতে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার সাতটি কোম্পানির এসব জাহাজকে বন্দরে প্রবেশ, নিবন্ধন, জাহাজ বাঙ্কারিং (তেল সরবরাহ), শ্রেণিকরণ, সনদায়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, পুনঃ সরবরাহ, রিফুয়েলিং, বিমা এবং অন্যান্য সামুদ্রিক পরিষেবা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ পতাকা নিবন্ধনকারী সংস্থা কর্তৃক জাহাজের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী যেকোনো ধরনের নিবন্ধন না করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে মোংলা বন্দরকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, গত ৫ জানুয়ারি পাঠানো চিঠিতে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে আসা এই চিঠিতে আমেরিকার শিপিং সংস্থার নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী সাতটি কোম্পানি ও ৬৯টি জাহাজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শাহীন মজিদ বলেন, এরই মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে ৬৯টি জাহাজের তালিকা বন্দরসংশ্লিষ্ট এজেন্ট ও ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠিয়ে দিয়ে এসব জাহাজ মোংলা বন্দরে যেন প্রবেশ করতে না পারে। এ জন্য পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য জাহাজগুলো হচ্ছে- এম ভি স্পার্টা-১, স্পার্টা-২, বেলোমোরস্কাই, সিজহোবকা, ডিভিনস্কাই জালিভ, ইনযিনার টারবিন, ইনয়িনার ভেসনিয়াকব, আইহোহান মাহমাসতাল, ক্যাপ্টেন কোকোভিন, রাইনসিন, মেখানিক আরভেস, মিকালইল লোমোনোসোভ, এস কুজনিসোভ, সাইয়ানি সেভারা, এস এমপি নোভোডিভিনেস্ক ও এস এমপি সেভারোডিভিনেস্ক।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পণ্যবাহী ‘উরসা মেজর’ জাহাজ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে আলোচনা চলছে। জাহাজটি গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে মোংলা বন্দরে ভেড়ার অপেক্ষায় ছিল। তার আগেই ২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়, এটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা ‘স্পার্টা-৩’ জাহাজ।
পরে বিষয়টি যাচাই করে জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে নিষেধ করে দেয় বাংলাদেশ। এরপর জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে গিয়ে সরঞ্জাম খালাসের চেষ্টা করে। দিল্লির অনুমোদন না পেয়ে সেখানে পণ্য খালাসে ব্যর্থ হলে গত ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছেড়ে যায় জাহাজটি। জাহাজটি এখন চীনে নোঙর করতে চাইছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।