সুনামগঞ্জের ১৯টি নদী খনন করা হবে : জাহিদ ফারুক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মার্চ ২০২৩, ৪:২৬:২৭ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সুনামগঞ্জের ১৯টি নদ-নদী খননে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী বর্ষার আগে (আগামী বছর) নদী খনন কাজ শুরু করা হবে। নদী খনন প্রকল্পের জন্য এখন বিশেষজ্ঞ সমীক্ষা চলছে। তিনি বলেন, নদীগুলো খনন করা হলে, বাঁধ নিয়ে এতো কথা হবে না।
গতকাল বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালি ও চাপতির হাওরের বৈশাখীর বাঁধ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, স্থায়ী বাঁধ বা নদী খননের প্রকল্প খুব ব্যয়বহুল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে বিশেষজ্ঞ সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। হাওরের টেকসই কাজে তড়িঘড়ি করা যাবে না।
জাহিদ ফারুক বলেন, গেল তিন বছর ধরে বৈশ্বিক মন্দা চলছে। বাংলাদেশ মন্দার বাইরে নয়। মন্দার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছেন। হাওরের কাজ থেমে নেই, চলছে। এজন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আগামীতে হাওরের উন্নয়নের জন্য ভালো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
এসময় সিলেট ও সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী,পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মামুন হাওলাদার, নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মো. শামসুদ্দোহা, সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবু সুফিয়ান, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন,দিরাই প্রেসক্লাবের সাবেক আহ্বায়ক সোয়েব হাসান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১ হাজার ৭২টি পিআইসির মাধ্যমে ৪৩টি হাওরে ৭৪৫ কিলোমিটার ডুবন্ত ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে একশত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।