কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ ৩ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৯:৫৯:৩০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আদালত সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ১০ জন। এর মধ্যে ৯ জনই কারাগারে রয়েছেন। শুধু সবুজ নামের এক আসামি পলাতক রয়েছেন।
গত বছরের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর বালুচর টিবিগেট এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফকে উপুর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত আরিফ টিলাগড় এলাকার স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুর নেতৃত্বে আরিফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আরিফ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২২ নভেম্বর নিহত আরিফ আহমদের মা আখি বেগম বাদী হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন। এতে হিরণ মাহমুদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামী হিরণ মাহমুদ পলাতক ছিলেন। তবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিলেট মহানগর দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দীনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করছিলেন তিনি। বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দিনই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মধুসূদন রায় হিরণ মাহমুদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরবর্তী শুনানির দিনে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড শেষ হয়েছে।
এসএমপির মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কাছে অনেক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি বা জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিশেষ তথ্য না দিলেও পুলিশের তদন্তকাজ এগিয়ে নিতে কোনো বেগ পেতে হবে না।