সিকৃবিতে ওয়াপসা’র বিভাগীয় কর্মশালায় তথ্য
সিলেটে প্রতিদিন ডিমের ঘাটতি ২৫ লাখ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ মে ২০২৪, ৩:১৭:০৭ অপরাহ্ন
সিকৃবি প্রতিনিধি : সিলেট বিভাগে প্রতিদিন ২৫ লাখ ডিমের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলে প্রতিদিন হাঁস ও মুরগির ডিমের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৯ লাখ। চাহিদার বিপরীতে সিলেটে ৪ লাখ ডিম উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। এতে দেখা গেছে, অন্তত ২৫ লাখ ডিম বাইরে থেকে এনে চাহিদা মেটাতে হচ্ছে।
গতকাল শনিবার সকালে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশনের (ওয়াপসা বিবি) বিভাগীয় কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিকৃবির ভেটেরিনারি, এ্যানিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদীয় ডীন প্রফেসর ড. মো. ছিদ্দিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবি’র উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভুঞা।
প্রফেসর ড. নাসরিন সুলতানা লাকী’র সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ওয়াপসা বিবি’র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মো, বাহানুর রহমান, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সিলেট এর বিভাগীয় চীফ এপিডেমিউলজিস্ট ডা. আছির উদ্দিন, ওয়াস্টার পোল্ট্রির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়াপসা বিবি’র সদস্য প্রফেসর ড. মো. ইলিয়াস হোসেন। বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. এটিএম মাহবুুব-ই-ইলাহী, প্রফেসর ড. এম রাশেদ হাসনাত।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন- হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি। এতে অন্য কোনো এলার্জেন্স নেই। দেশের ৪৫ ভাগ মানুষ প্রাণীজ প্রোটিনের উপর নির্ভরশীল। প্রাণীজ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো পোল্ট্রি শিল্প। অথচ সিলেট অঞ্চলে লেয়ার খামার ও পোল্ট্রি হেচারী নেই বললেই চলে।
তারা বলেন, সিলেট অঞ্চলে কর্মক্ষম যুব সমাজকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি গ্রামীণ নারীদের পোল্ট্রি শিল্পে নিয়োজিত করতে পারলে এ অঞ্চলে মাংস ও ডিমের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। পোল্ট্রি শিল্পেও কৃষির মতো কমার্শিয়াল বিদ্যুৎ বিলের পরিবর্তে আবাসিক বিল প্রদান করতে হবে। একই সঙ্গে উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের সুবিধা বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় উপস্থাপন করা হয়, সিলেটে হাওরাঞ্চলে হাঁস পালনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে ব্যক্তি পর্যায়ে কাজে লাগানো যায়। আর সিলেট জেলায় সোনালী জাতের মুরগির চাহিদা রয়েছে এক লাখ। অথচ স্থানীয়ভাবে সরবরাহ যাচ্ছে ১০ হাজারের মতো। কর্মশালায় বায়ূ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের পাশাপাশি প্রান্তিক চাষি পর্যায় থেকে বাজার পর্যন্ত ডিমের দামের বৈষম্য কমানোর তাগিদ দেয়া হয়।