ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সেমিনারে বিভাগীয় কমিশনার
‘মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম স্বপ্নীল বাংলাদেশের যুগান্তকারী প্রকল্প’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুন ২০২৪, ১০:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিকী এনডিসি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। আমরা সে পথেই হাঁটছি। সকলের অংশগ্রহণ ও সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম স্মার্ট নাগরিক গঠনে নিয়ামক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম স্বপ্নীল বাংলাদেশের যুগান্তকারী প্রকল্প। দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনপদে শিশুদের ঝরে পড়া রোধ করে জ্ঞানের বাতিঘর হিসেবে এ প্রকল্প আলো ছড়াচ্ছে। সবার জন্য শিক্ষা- শ্লোগানকে ধারণ করে এ প্রকল্পের শিক্ষকরা নীরবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সৈনিক হিসেবে কাজ করছেন।
বুধবার (১২ জুন) নগরীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজ মো. হুমায়ুন কবীর কমান্ড্যান্ট, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক, সাংবাদিক ও কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক পরিচালক আবু ছিদ্দিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, সারাদেশে মসজিদের অবকাঠামো ব্যবহার করে শিশুদেরকে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে ঝরে পড়া পড়া রোধ করছে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম। এর ফলে আলেম-ওলামাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
মূল প্রবন্ধে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ওয়াক্কাস বলেন, জাতিসংঘের এসডিজিতে বাংলাদেশ ছয়টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য মানসম্মত শিক্ষা। নানা জরিপ ও বিশ্লেষণে দেখা গেছে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের গণমুখী সম্পৃক্ততায় মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জনের পথ সহজ হচ্ছে। আর মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের উদ্দেশ্যকে ধারণ করে সারাদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যা কওমি-আলিয়া ও স্কুল শিক্ষা সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন হবিগঞ্জ জেলার উপপরিচালক মুহাম্মদ মুনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের পরিচালক আরমান হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সুনামগঞ্জ জেলার উপপরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন মৌলভীবাজার জেলার উপপরিচালক মো. ফারুক আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের ফিল্ড অফিসার মো. আবদুল বাকী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলার ফিল্ড সুপারভাইজাররা শতভাগ সফল প্রকল্প হিসেবে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভূক্ত করে শিক্ষকদের সম্মানজনক সম্মানী নির্ধারণের দাবী জানান।