কোম্পানীগঞ্জের দয়ারবাজার-চরারবাজার সড়কে ধ্বস, দুর্ঘটনার আশঙ্কা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ জুন ২০২৪, ১:০৩:৪৩ অপরাহ্ন
আবিদুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ থেকে : কোম্পানীগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ দয়ারবাজার- চরারবাজার সড়কের একটি অংশে ধস দেখা দিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ছোট-বড় যানসহ পথচারী। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। জরুরি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় লোকজন জানান, কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেটে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম এই সড়ক। উপজেলা সদরের সাথে পূর্ব ইসলামপুর ও উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের যোগাযোগে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে এই সড়ক। ভাটরাই উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, বরমসিদ্ধিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাঝেরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই সড়কে যাতায়াত করে। এ সড়ক ব্যবহার করেই পর্যটকরা উৎমা ও তুরং ছড়ায় যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বরমসিদ্ধিপুরের (ট্রলি লাইনের পাশে) একটি অংশে ধসের সৃষ্টি হয়েছে। ওই অংশে সড়কের নিচ থেকে সরে গেছে মাটি। ফলে তৈরি হয়েছে শূন্যতা। উপরাংশের ঢালাই সরে গিয়ে বেরিয়েছে রড। নিচে তাকালেই দেখা যায় পানি। নিকটেই পানিতে ভাসতে দেখা যায় ধসে যাওয়া একটি বড় গাছ। যে কোন সময় বিচ্ছিন্ন হতে পারে এ সড়কে চলাচল। কিন্তু এ অবস্থায়ও সড়কটি দিয়ে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
আবুল হোসেন রিফাত নামে স্থানীয় এক পথচারী জানান, ‘বন্যার পানিতে সড়কের পাশের গাছটি পড়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে ওই জায়গার মাটি সরে যাচ্ছিল। শনিবার সকালে এসে দেখি- মাটি সরে গিয়ে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের ভারে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই বিষয়টি সবার নজরে আনতে ফেইসবুক লাইভে এসে কথা বলি।’
স্থানীয় বিজয়পাড়ুয়া গ্রামের রুহুল আমীন বলেন, ‘ প্রতিদিনই গর্তের আকার বড় হচ্ছে। এখনই ধসে যাওয়া জায়গা ঠিক করা দরকার। নইলে বিপদ ঘটতে পারে।’
ব্যাটারিচালিত একজন ইজিবাইক চালক বলেন, ‘আমরা যাত্রী নিয়ে চলাচল করি। ভয়ে থাকি, কখন জানি দুর্ঘটনা ঘটে!’
ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাস্টার ফয়জুর রহমান জানান, ‘উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তিনি আপাতত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরাও দেখছি কি করা যায়।’
এদিকে, শনিবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি পরিদর্শন করেছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আসিফ খান রাব্বি।
তিনি বলেন, বন্যায় সড়কটির নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। আপাতত ভাঙন থেকে সড়কটি রক্ষায় উদ্যোগ নিচ্ছি। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ওখানে মাটি ভরাট করে রাস্তার পাশে বালির বস্তা দেওয়া হবে। বন্যা-পরবর্তী মেরামত কাজের আওতায় সড়কের ওই অংশ মেরামত করা হবে।