'সিলেট অঞ্চলে সাহিত্য-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে কেমুসাস'
বর্ণীল আয়োজনে কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার প্রদান সম্পন্ন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জুলাই ২০২৪, ৯:৪৩:১৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট অঞ্চলের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের অসামান্য অবদান রয়েছে। অখন্ড ভারত আমল থেকে এই প্রতিষ্ঠান সিলেট অঞ্চলের সাহিত্য-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। রবীন্দ্র-নজরুল চর্চায় এ প্রতিষ্ঠানের যেমন ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে, তেমনি রয়েছে ভাষা আন্দোলনে তার গৌরবময় ভূমিকা। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর দরগাহগেইটস্থ কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের (কেমুসাস) ১২০০তম সাহিত্য আসর উপলক্ষে কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহমেদ নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কেমুসাসের সাবেক সভাপতি ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান, সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী, সহসভাপতি কবি কালাম আজাদ ও আফতাব চৌধুরী, দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের, কেমুসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, দৈনিক সিলেটের ডাকের সাবেক ব্যবস্থাপনা সম্পাদক দেওয়ান তৌফিক মজিদ লায়েক, কেমুসাসের সাবেক সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, এডভোকেট আবদুল মুকিত অপি ও নাজমুল আনসারী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কেমুসাসের কার্যকরী পরিষদ সদস্য ফায়যুর রাহমান।
কেমুসাসের কার্যকরী পরিষদ সদস্য গল্পকার সেলিম আউয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কেমুসাসের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি আমাদের সাহিত্যের ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তরুণ কবি-সাহিত্যিকদের পুরস্কৃত ও অনুপ্রাণিত করে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছে। আজ যারা তরুণ সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন, একদিন জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত হবেন বলে আমাদের বিশ^াস।
অনুষ্ঠানে কেমুসাসের সাবেক সাহিত্য সম্পাদকদের হাতে সম্মাননা সনদ তুলে দেওয়া হয়। সম্মাননা গ্রহণ করেন, কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী, সেলিম আউয়াল, সৈয়দ মবনু, নাজমুল আনসারী, আবদুল মুকিত অপি ও আহমদ মাহবুব ফেরদৌস।
ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাহিত্য জাতির আয়নার মতো। যে জাতির সাহিত্য যত উন্নত, সে জাতি তত সমৃদ্ধ ও উন্নত। আজকের তরুণ সাহিত্য পুরস্কার অনুষ্ঠান ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, কেমুসাসের মাধ্যমে এ অঞ্চলের সাহিত্যিকদের সম্মানিত করার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী বলেন, কেমুসাস আমাদের পূর্বসূরী লেখক-সংগঠকদের রেখে যাওয়া আমানত। যথাযথ চর্চার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। একই সঙ্গে সিলেটের সাহিত্য-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করতে নিয়মিত সাহিত্য আসর ও আল ইসলাহ প্রকাশের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে কেমুসাসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আহমেদ নূর তরুণ সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে বলেন, নিজেদের সঠিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিকশিত করতে মুক্তবুদ্ধি ও সাহিত্যের চর্চা করে যেতে হবে। পূর্বসূরিদের রেখে যাওয়া গৌরবময় উত্তরাধিকার ধরে রাখতে হবে। তিনি এবছরের কেমুসাস তরুণ সাহিত্য পুরস্কারের জন্য কবিতায় সাইয়্যিদ মুজাদ্দিদ ও ছড়ায় নাঈমুল ইসলাম গুলজারের নাম ঘোষণা করেন।
স্বাগত বক্তব্যে কেমুসাস সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু বলেন, কেমুসাসের প্রতি ১০০টি সাহিত্য আসর সম্পন্ন হওয়ার পর আসরে উপস্থিতি ও লেখার মান বিবেচনা করে কেমুসাস কর্তৃপক্ষ তরুণ সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেন।