সিলেটে সাংবাদিক তুরাব নিহতের ঘটনা তদন্ত হচ্ছে : পুলিশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুলাই ২০২৪, ১০:৫১:০০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সাংবাদিক এ টি এম তুরাব নিহতের ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান।
১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে গুলিবিদ্ধ হন তুরাব। পরে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান তিনি। দৈনিক নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক জালালাবাদের স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন নিহত তুরাব।
বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, “কী কারণে এবং কিভাবে সাংবাদিক তুরাব নিহত হয়েছেন তার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিন সিলেট নগরীর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন পুলিশ কমিশনার। তিনি বলছিলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সিলেটে যে নাশকতা ও সহিংসতা হয়েছে তার সঙ্গে শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল না।
পুলিশ কমিশনারের ভাষ্য, “ছাত্রদের সঙ্গে মিশে তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ বিভিন্ন সন্ত্রাসী দল ও গোষ্ঠী এই নাশকতা চালিয়েছে। এদেরকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, কঠোর হস্তে তাদেরকে দমন করা হবে।”
বর্তমান পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভাল উল্লেখ করে জাকির হোসেন খান বলেন, “তিনদিন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অনেক তাণ্ডব চালিয়েছে। তারা পাঠানটুলা পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। রেজিস্ট্রারি ও বিদ্যুৎ অফিস ভাঙচুর করেছে। এসব নাশকতায় ছাত্ররা জড়িত ছিল না।
“শুরুতে আন্দোলনে ছাত্ররা ছিল। কিন্তু কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার পর তারা চলে গেছে। এরপর তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ বিভিন্ন দলের সন্ত্রাসী ও গোষ্ঠী নাশকতা করেছে।”
এসব ঘটনায় ১০টি মামলায় ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, নাশকতাকারী কেউ ছাড় পাবে না, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন জানিয়ে জাকির হোসেন খান বলেন, “সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা করেছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আহত পুলিশ সদস্যের কেউ কেউ চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আছেন। হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন আছেন কয়েকজন।”
“দক্ষিণ সুরমায় একজন এএসআইকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে তার মাথায় হেলমেট না থাকলে হয়তো মেরেই ফেলা হতো। তার পা ভেঙে গেছে। তার অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে”, বলেন পুলিশ কমিশনার।