আহত অন্তত ২০ জন
সিলেটের চৌহাট্টা রণক্ষেত্র, ছাত্র-জনতাকে সরিয়ে দিল পুলিশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ৩:৩০:০৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : সিলেটের চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে ছাত্র-জনতা সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল পাঁচটার দিকে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশকে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এ সময় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ছাত্র-জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেল তিনটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে চৌহাট্টা পয়েন্টে অবস্থান নেয় ছাত্র-জনতা। তুমুল বৃষ্টি উপেক্ষা করে চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে লোক সমাগমও।
‘বিক্ষোভ মিছিল’ করার ঘোষণা দেওয়া হলেও মিছিলের পরিবর্তে সড়কেই বসে পড়ে আন্দোলনকারীরা। ফলে ব্যস্ততম এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীদের পাশেই সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় পুলিশ। আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরে যেতে বলে। এতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা ‘ভুয়া, ভুয়া’ শ্লোগান তুলে। পুলিশের দিকে তেড়েও যায় কয়েকজন। একপর্যায়ে পিছু হঠে পুলিশ।
বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল গালিব সাংবাদিকদের বলেন, “আরও কিছুক্ষণ আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবো। পরবর্তীতে নির্দেশনা এলে আমরা ফিরে যাবো। তবে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। এ ছাড়া রোববার থেকে আমরা অসহযোগ আন্দোলন শুরু করবো।”
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের একটি খন্ডমিছিল পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদুনে গ্যাস ও বাবার বুলেট ছোড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় নগরীর চৌহাট্টা, দরগাগেইট, মিরবক্সটুলা ও জিন্দাবাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা জিন্দাবাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। বিকাল ৬টার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টার পরিস্থিতি এখনও থমথমে।
এদিকে বিক্ষোভ চলাকালে নগরীর চৌহাট্টা, আম্বরখানা, জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজারে অতিরিক্ত পুলিশে মোতায়েন করা ছিলো। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের সময় ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে কয়েকজনকে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।