বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতের ঘটনা
গোলাপগঞ্জে আরো দু’টি মামলা, নাহিদ-নাসির-সারওয়ার-এলিম আসামি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ২:০৭:০০ অপরাহ্ন
মাহফুজ আহমদ চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ (সিলেট) থেকে ॥ গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে আরো দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শীলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে ছানি আহমদ (২২) এর পরিবারের পক্ষ থেকে গত মঙ্গলবার রাতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ছানির বাবা মো: কয়ছর আহমদ বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১২/১৪০।
মামলার এজাহারে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সারওয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাপগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, বিয়ানীবাজার উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, পৌর কাউন্সিলর রহিন আহমদ খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের ১১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলা নিয়ে এখন পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত ৭ জনের পরিবারের মধ্যে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ৪টি হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের।
উল্লেখ্য, হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন (৪ আগস্ট) গোলাপগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি এবং সন্ত্রাসীদের গুলিতে শীলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে ছানি আহমদসহ ৬ জন নিহত হন। এছাড়াও সিলেটে পুলিশের গুলিতে গোলাপগঞ্জে আরো একজন নিহত হন।
এদিকে, গত মঙ্গলবার সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ আরো একটি মামলা করেছেন উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড় এলাকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত জয় আহমদের ভাই মনোয়ার মিয়া। মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাপগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিৎ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, সাবেক মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, পৌর কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খানসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের ১৬৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।