দিরাইয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০, যুবলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ২
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:৩১:৫২ অপরাহ্ন
দিরাই (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতাঃ দিরাইয়ের তাড়ল গ্রামে মাছ ধরার জাল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ সহ ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার বিকাল ৫ টায় তাড়ল গ্রামের যুবলীগ নেতা জাহেদ চৌধুরী ও ইউপি সদস্য সুমন চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ দিদার (২৭) নামের একজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আহত অন্যদের দিরাই উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ নেতা জাহেদ চৌধুরী, রুবেল চৌধুরীকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে, গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। থানা পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা জাহেদ চৌধুরীর পক্ষের সুমন চৌধুরীর লোকজনের মাছ ধরার জাল চুরির বিষয়ে গ্রামের সালিসি বৈঠক বসে। একপর্যায়ে দু’পক্ষের উত্তপ্ত কথাবার্তা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে তিনটি গুলির শব্দ শুনতে পায় গ্রামের লোকজন। সংঘর্ষে দুই পক্ষের নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সুনম চৌধুরীর পক্ষের গুলিবিদ্ধ দিদার চৌধুরীকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া আহত রাহেনা বেগম ( ৪৭) রুপি বেগম (৪০) রাশেদা বেগম (৬৫) কনা বেগম (৬৯) দিলারা বেগম(৬৫), কামরুল রুনু মিয়া ( ৬০) আঙ্গুর মিয়া (৪০) আব্দুল ওয়াদুদ( ৫২) আলী হামজা (১৭)কে দিরাই উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
দিরাই উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রায়হান উদ্দিন বলেন, আহতদের মধ্যে তিন জনের শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের বিষয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করছেন।
দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।