সিলেট প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভায় মুশফিকুল ফজল আনসারী
‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩:২৮:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ওয়াশিংটন প্রেসক্লাবের সদস্য, জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেছেন, ‘এখন বিভাজনের সময় নয়; ঐক্যবদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ার সময়। যেখানে কোনো বিভেদ-বিভাজন থাকবে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এ সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। গতকাল রোববার দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাব আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক মুশফিক বলেন, ‘আমরা প্রফেসর ইউনূসের মতো একজন নোবেল বিজয়ীকে সরকার প্রধান হিসেবে পেয়েছি। তার কারণে আমরা বিশ্বে সম্মানিত, তিনি আমাদের গর্ব। আমরা বিশ্বাস করি, নিশ্চয়ই তিনি তার নামের প্রতি সুবিচার করবেন এবং সমস্ত খুনিদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসবেন।’
ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সমতা ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে হওয়া উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যাকে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ সারা দুনিয়ার মানবতাবাদী দেশগুলো রিফিউজ করেছে এই হত্যাকারী-খুনিকে রাজার হালে রেখে সম্পর্ক ভালো হবে না। শেখ হাসিনাকে দ্রুত ফিরিয়ে এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে কেউ ক্ষমতার অপব্যবহার করতে না পারে। প্রফেসর ইউনূসের মাধ্যমে এটি সম্ভব।’
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আরও বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় যাবেন এবং আছেন তাদের মানুষের অনুভূতি বোঝা উচিত যে, মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে, খুন করলে, লুট করলে, কর্পোরেট দুবৃত্তদের সুযোগ করে দিয়ে কাছাকাছি রাখলে আজ হোক, কাল হোক মানুষের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতীতে ব্যক্তিগত সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য এথিক্সের বাইরে গিয়ে সাংবাদিকতা করেছেন। কিন্তু আমেরিকায় একজন সাংবাদিককে এককাপ চা খাওয়াতে পারবেন না। নাগরিক সুবিধার জন্য আমাদের সাংবাদিকতা করতে হবে।
তিনি দেশের সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতা বজায় রেখে নিজের বিবেক ও দেশপ্রেমকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকতা করার আহ্বান জানান। মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘মালিকপক্ষ সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেয় না। কেউ অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে নিজের বিবেককে বন্ধক দিবেন না। এতে দেশের নাগরিকদের অধিকারের কথা বলার সুযোগ থাকবে না।’
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি খালেদ আহমদ।
সভায় বক্তব্য দেন, ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শাহজাহান আলী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওভাসকুলার সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. নিয়াজ আহমদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা নাসিম হোসাইন, সিলেটের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিলেট ব্যুরো প্রধান সেলিম আউয়াল, দৈনিক সিলেটের ডাক’র প্রধান বার্তা সম্পাদক এনামুল হক জুবের, কমনওয়েল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসাদুল্লাহ আল গালিব, কবি ও বাচিক শিল্পী সালেহ আহমদ খসরু, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল কাদের তাপাদার ও এম এ হান্নান, ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বাসস সিলেট সংবাদদাতা শুয়াইবুল ইসলাম, ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (ইমজা) সভাপতি সজল ছত্রী, ওভারসিজ করেসপন্ডেন্ট এসোসিয়েশন সিলেটের সেক্রেটারি এডভোকেট মুহাম্মদ তাজ উদ্দিন, দৈনিক জৈন্তা বার্তার নির্বাহী সম্পাদক মো. ফয়ছল আলম, প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কাউসার চৌধুরী, সিলেট জেলা বারের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, দৈনিক জালালাবাদের বার্তা সম্পাদক আহবাব মোস্তফা খান, সিনিয়র সাংবাদিক নূর আহমদ প্রমুখ। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সিলেট প্রেসক্লাবের পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবির আহমদ। মতবিনিময় সভায় সিলেট প্রেসক্লাব সদস্য ছাড়াও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।