বিবিদইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অব্যাহতি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩২:৩৪ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার ইউনিয়নের বিবিদইল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রানাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় তিনি বিনা ছুটিতে দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেন। তার পরিবর্তে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায়।
এর আগে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ সাইফুল ইসলাম রানার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে এতে।
জানা গেছে, বিবিদইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলন ও দীর্ঘদিন তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকায় গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রানার পরিবর্তে সহকারি শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের আর্থিক হিসাব-নিকাশে ব্যাপক গরমিল রয়েছে। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব খান ২০২১ সালের ২৩ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর লালাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবালকে পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ব্যাংক হিসাবে পীর ইকবালের নাম সংযুক্ত না করে তাঁর পূর্ববর্তী সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব খানের নামেই একাউন্ট রেখে বিদ্যালয়ের নামে পরিচালিত অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি স্টেশন রোড শাখা থেকে বিভিন্ন সময় এককভাবে আব্দুল ওয়াহাব খানের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করেছেন। সাইফুল ২০২১ সালে দুইবার, ২০২২ সালে একবার এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২০ মার্চ ৪৪ হাজার টাকা উত্তোলন করেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে নতুন কমিটি গঠনেরও অভিযোগ রয়েছে সাইফুলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দায়েরকৃত একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। মামলা চলমান থাকলেও সাইফুল ইসলাম রানা তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখেননি। তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে কর্মস্হলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ইতিপূর্বে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন তাকে। কিন্তু নোটিশের জবাব সুষ্ঠু না হওয়ায় এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।