শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা আজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ৬:২৪:৫৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ শুক্রবার মহাঅষ্টমী পূজা। আজ কুমারী পূজাও। কুমারী পূজায় একজন বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ চিন্তা করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবী জ্ঞানে তাকে পূজা করেন। আজ সকালে অষ্টমী বিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। হবে সন্ধিপূজা। এদিন বলিদানও হয়। সন্ধিপূজায় দেবী দুর্গাকে চন্ডীরূপে বা কালীরূপে পূজা করা হয়।
হিন্দু ধর্মমতে, পরমা প্রকৃতি স্বরূপা মহাদেবী, মহাদেবের পতœী।
অশুভ শক্তি লঙ্কারাজ রাবণ সীতাকে হরণ করে লঙ্কাতে নিয়ে যান। সীতাকে উদ্ধারের জন্য শ্রীরামচন্দ্র অশুভ শক্তি রাবণকে পরাজিত করতে অকালে শরৎকালে আরাধনা করেছিলেন। রাবণ বধের জন্য শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে এই শরৎকালে দেবী দুর্গাকে জাগিয়ে তুলতে আরাধনা করেছিলেন। তাই, অকালের এ পূজা অকাল বোধন নামে পরিচিত।
দেবী দুর্গার কাঠামোতে জগজ্জননী দুর্গা ছাড়াও লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, সিংহ ও অসুরের মূর্তি থাকে। এছাড়া পেঁচা, হংস, ময়ুর, ইদুঁর ও সবার উপরে শিবের মূর্তি বিদ্যমান।
দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গার আগমনে ভক্ত পূণ্যার্থীরা আজ শুক্রবার পূজামন্ডপে সমবেত হবেন আনন্দ ও শ্রদ্ধাকূল চিত্তে। পূজা শেষে সকলে মিলে জগজ্জননী দুর্গার চরণে নিবেদন করবেন পুষ্পাঞ্জলি। সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি ও বৈশ্বিক অশান্তি থেকে মুক্তি কামনায় সমাগত পূণ্যার্থীদের কন্ঠে সমস্বরে উচ্চারিত হবে শান্তির মন্ত্র। নানা বয়স ও শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিটি মন্দির প্রাঙ্গণ পরিণত হবে মহাতীর্থে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মহাসপ্তমী বিহিত পূজা থেকেই মূলতঃ সাড়ম্বরে শুরু হয় পূজা। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মতো দুর্গতি নাশিনী দেবী দুর্গার শ্রীচরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করবেন ভক্তরা। সেই সাথে চলবে বিশ্বের সকল মানুষের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক অশান্তি থেকে মুক্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা। একই সাথে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হবে প্রতিদিন মন্দিরে মন্দিরে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পূণ্যার্থীরা মাতৃ দর্শনে দলে দলে এ মন্দির থেকে ওমন্দিরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর মির্জাজাঙ্গাল, লামাবাজার, দাড়িয়াপাড়া, জিন্দাবাজার, জল্লারপাড়, মাছুদিঘিরপার, মণিপুরী রাজবাড়ি, নাইওরপুল, কাজলশাহ, মিরের ময়দান, জামতলা, তোপখানা, মাছিমপুর, মণিপুরী পাড়া, মাছিমপুর কুরি পাড়া, চালিবন্দর, যতরপুর, মিরাবাজার, রায়নগর, সোনাতুলা, গোপালটিলা, দুর্গাবাড়ি, বালুচর, আম্বরখানা, করেরপাড়া, পনিটুলা, আখালিয়া কালীবাড়ি, শেখঘাট, গোটাটিকর, জৈনপুর ও শিববাড়ি এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সকল মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। আজও একইভাবে মন্দিরে মন্দিরে ভক্ত-পূণ্যার্থীদের ঢল নামবে।