ঘাতককে ঘেরাও করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা
কানাইঘাটে ছেলের সামনে পিতাকে জবাই করে হত্যা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ৪:৩০:১৮ অপরাহ্ন
কানাইঘাট (সিলেট) থেকে নিজেস্ব সংবাদদাতা : কানাইঘাটে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রবাসী ছেলের সামনে পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ধলিবিল দক্ষিণ নয়াগাঁওয়ে এ নৃশংস ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত সুলতান আহমদকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো রাম দা উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, ফয়জুল হোসেনের সাথে সুলতান আহমদের বসতবাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত কয়েকদিন থেকে ধারালো দা নিয়ে সুলতান আহমদ চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে হত্যার পাঁয়তারা করছিল। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে যখন ফয়জুল হোসন তার প্রবাসী ছেলে আলী রাজাকে নিয়ে নিজ বসতঘরে ছিলেন। তখন ধারালো রাম দা নিয়ে সুলতান আহমদ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ফয়জুল হোসেন ও তার প্রবাসী ছেলের দিকে দা নিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে। তখন প্রবাসী আলী রাজা প্রাণ রক্ষার্থে সরে গেলে সুলতান আহমদ রাম দা দিয়ে ফয়জুল হোসনের মাথা ও গলায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন সুলতান আহমদকে তার বসতঘরে ঘেরাও করে রেখে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতান আহমদকে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা রাম দা জব্দ করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাতার প্রবাসী আলী রাজা বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় সুলতান আহমদসহ ৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তÍুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল জানিয়েছেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সুলতান আহমদ তার চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এবং সে নিজেও হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানিয়েছেন, আপন চাচাতো ভাই ফয়জুল হোসেনের হত্যাকারী সুলতান আহমদ এলাকার বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সে সব-সময় এলাকায় দা নিয়ে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করত। তার ভয়ে আপন ভাই ও চাচাতো অপর ভাইয়েরা বাড়ি ছেড়ে সিলেট শহরে বসবাস করছে বলেও জানান স্থানীয় লোকজন।