কুশিয়ারা নদীর ভাঙন, ফেঞ্চুগঞ্জ-গোলাপগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ৩:২৫:১৯ অপরাহ্ন
ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ফেঞ্চুগঞ্জ-মানিককোনা -গোলাপগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কের ফেঞ্চুগঞ্জ অংশের গংগাপুর নামক স্থানটিতে ব্যাপক ভাঙ্গনে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ হওয়ায় বৃহৎ অঞ্চলের জনসাধারণ যাতায়াতে চরম বিপাকে পড়েছেন।
জানা যায়, ভাঙন শুরু হলে সড়ক বিভাগ জরুরি সংস্কার ও মেরামত কাজ কয়েক দফা করলেও কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। এ নিয়ে কয়েক দফায় লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করেও কোন কুল কিনারা হচ্ছে না। নদীর তীরবর্তী সড়কটির ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান চাচ্ছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটিতে ফেঞ্চুগঞ্জ এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ উপজেলা ও জেলা সদর এবং বিভিন্ন হাটবাজারে চলাচল করে থাকেন। ব্যবসায়ীরা উপজেলা সদরের ফেঞ্চুগঞ্জ বাজার থেকে মালামাল পরিবহন করে থাকেন। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ায় অনেক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে শিকার হচ্ছেন। সড়ক পথে চলাচল করতে না পেরে অনেকে বিকল্প হিসেবে নৌ পথে যাতায়াতে বিপদে পড়ছেন। উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফজাল হোসাইন জানান, ভাঙন প্রতিরোধের পাশাপাশি বিকল্প রাস্তা খুঁজতে হবে। নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গন রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডেকে বড় প্রকল্প হাতে নিতে হবে।
তিনি আরো জানান, ইউনিয়নের মানিককোনা, ভেলকোনা, সুলতানপুর, গংগাপুর, গয়াসী গ্রামের বাড়িঘর ফসলের মাঠ প্রতি বছরই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
ভাঙন কবলিত সড়কটির বিষয়ে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই স্থানের ভাঙন রোধে ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। চলতি মাসেই টেন্ডার হবে এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে জরুরি ভিত্তিতে দ্রত সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে।