প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ
প্রবাসী বাংলাদেশীদের ১৭ দফা সমস্যা তুলে ধরলেন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশিজ প্রতিনিধি দল
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:৪০:৪৩ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভয়েস ফর গেøাবাল বাংলাদেশিজ এর একটি প্রতিনিধি দল।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ৩০ জনের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেন। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, গ্রিস ও কম্বোডিয়ার প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ প্রধান উপদেষ্টার প্রতি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং প্রবাসীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য ও দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করেন।
প্রবাসে বসবাসরত বিশেষজ্ঞগণ কীভাবে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করতে পারে এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ভয়েস ফর বাংলাদেশিজ এর প্রেসিডেন্ট শিক্ষাবিদ ড. হাসনাত এম হোসাইন এমবিই’র প্রচেষ্টা ও যোগাযোগে বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসের সাথে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সহ সভাপতি মাহিদুর রহমানের সূচনা বক্তব্যের পরই সংগঠনের সভাপতি ডক্টর হাসনাতের লিখিত বক্তব্য ডক্টর ইউনূসের সামনে পড়ে শোনানো হয়। পরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ১৭ দফা সমস্যা তুলে ধরেন সংগঠনের মিডিয়া ডাইরেক্টর কে এম আবু তাহের চৌধুরী।
তিনি ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রূপান্তর, ওসমানী বিমান বন্দরে বিদেশী ফ্লাইট চালু, প্রবাসী বাংলাদেশীদের এনআইডি কার্ড দ্রুত প্রদান, ভূমি খেকোদের খপ্পর থেকে প্রবাসীদের সহায় সম্পত্তি রক্ষার নিমিত্তে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, লন্ডন-সিলেট রুটে বিমানের ভাড়া হ্রাস ও বৈষম্য দূরীকরণ, নো ভিসা ফি হ্রাস, পাওয়ার অব এটর্নি ইস্যুর বেলায় বৃটিশ পাসপোর্টকে আইডি হিসাবে গ্রহণ, প্রবাসীদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ প্রদান ইত্যাদি দাবি রয়েছে।
সভায় জুডিশিয়ারি ও লিগ্যাল ম্যাটারসে কথা বলেন ব্যারিস্টার নজরুল খসরু, ড. ইউনূসের থ্রি জিরো নিয়ে কথা বলেন ড. শওকত আলী ও ধন্যবাদ প্রদান করেন কাউন্সিলর আ ম ওহিদ। প্রতিনিধি দলের আরো ১০ জন সদস্য বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে লিখিত বক্তব্য ও প্রস্তাব প্রদান করেন।
প্রতিনিধি দলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের সঙ্গে আলোচনার সূত্রপাত হলো। সময়ের স্বল্পতায় অনেক কথা বলা হলো না। ছোট করে শুনলাম। লিখিত পত্র থেকে বিস্তারিত জানব। এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা হবে।
সভায় সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র আ ম অহিদ আহমদ, ব্যারিস্টার নজরুল খসরু, কে এম আবু তাহের চৌধুরী, শামসুল আলম লিটন, আবদুল কাদির সালেহ, আবদুল লতিফ জে পি, শরাফত হোসেন বাবু, ড. হোমায়ের চৌধুরী, ব্যারিস্টার নজির আহমদ, মাহবুব আলম শাহ, ব্যারিস্টার আফজাল জামি, ডা. সারওয়াত বারী, নিউরো কনসালটেন্ট ডাক্তার আহসান মহম্মদ হাফিজ, আইটি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার জিয়া উদ্দিন, মাওলানা এ কে মওদুদ হাসান, মিসেস দিলরুবা আজিজ, গুলাম আরহাম, মালয়েশিয়ান দাতো ইঞ্জিনিয়ার একরাম, ড. শওকত আলী, কম্বোডিয়ার মোহাম্মদ রকিব হোসেইন, গ্রীসের জাহিদ ইসলাম, মালয়েশিয়ার মাহবুব আলম শাহ, সংগঠক আব্দুল বারী, কানাডার মোহাম্মদ শাহেদ খোন্দকার, সাংবাদিক সারোয়ার হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আতাহির খান, ইঞ্জিনিয়ার মো. ইকরামুল হক, ড. সোহেলী ইয়াসমীন, মিসেস রিফাত মোর্শেদ, নিউরোলজিস্ট আহসান মো. হাফিজ, মো. জাহাঙ্গির কবির, মহিউদ্দিন ভুইয়া প্রমুখ।