ফায়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
জগন্নাথপুরে রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৬টি ঘর পুড়ে ছাই
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৩০:১১ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : জগন্নাথপুরে রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকা-ের ঘটনায় ৬টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এ ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সামাজিক সংগঠন স্টুডেন্ট কেয়ার ও চিলাউড়া গ্রামবাসীর আয়োজনে জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে পুঞ্জি গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার বসতবাড়ির রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তাৎক্ষণিক আগুনের লেলিহান শিখা পার্শ্ববর্তী আরশ আলী, বাছিদ মিয়া ও রামিম মিয়াসহ আশপাশের ৬টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে গ্রামের লোকজন দুই ঘণ্টা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে ওই ৬টি ঘরে থাকা নগদ অর্থসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত আরশ আলী বলেন, ঘরে নগদ তিন লাখ টাকা ছিল। কিছুই বের করতে পারিনি। সবাই শুধু নিজের প্রাণ নিয়ে বের হয়েছিলাম। সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আরেক ক্ষতিগ্রস্ত বাছিদ মিয়া বলেন, প্রায় ১শ’ মণ ধান ছিল, সব পুড়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটনার সাথে সাথে জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলেও তাঁরা আসেননি। তবে ফায়ার সার্ভিসের দাবি হঠাৎ করে গাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাঁরা ঘটনাস্থলে যেতে পারেননি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য লিলু মিয়া বলেন, ৬ টি ঘরের কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই। সব পুড়ে গেছে। কারো ঘরে অনেক টাকা পয়সা, সোনাদানাও ছিল। কেউই কিছু বের করতে পারেননি। আগুনে ৪টি গবাদিপশুর অবস্থাও খারাপ।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, আগুনে নি:স্ব করে দিয়েছে দরিদ্র ছয় কৃষক পরিবারকে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য আমরা লিখিতভাবে রিপোর্ট করেছি। অসহায় পরিবারের লোকজনকে সহায়তায় সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মুর্শেদ আলম মুঠোফোনে বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠার পর হঠাৎ করে গাড়িটি নষ্ট হয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী উপজেলা শান্তিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আনানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে গ্রামবাসীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেন। অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরকত উল্লাহ ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
