সাংবাদিক তুরাব হত্যা : রিমান্ড শেষে এডিসি দস্তগীর জেলহাজতে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:১২:৫৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত সিলেট মহানগর পুলিশের সাবেক এডিসি সাদেক কাউসার দস্তগীরের ৫ দিনের রিমান্ড শেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই এর কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন দস্তগীর। তার দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে গুলি ছুঁড়েছেন। তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ মুরসালিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার দস্তগীরকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলি আদালত-১-এ হাজির করা হয়। আদালতের বিচারক আবদুল মোমেন শুনানি শেষে সাদেক কাউসারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই সিলেটের বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন সাংবাদিক এটিএম তুরাব। এসময় পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান তিনি। ৫ আগস্ট ছাত্র- জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ জাবুর। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ক্রাইম ও উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউসার, উপ-কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় আরো ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
অপরদিকে, ১৭ নভেম্বর রাতে এ মামলার আরেক আসামি পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। এ নিয়ে তুরাব হত্যা মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করা হলো। দুজনই পুলিশ সদস্য।
১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শেরপুর থেকে সাদেক কাউসার দস্তগীরকে গ্রেফতার করে পিবিআই। পরদিন কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাকে সিলেট আদালতে তোলা হয়। তখন তাকে আদালত ভবনে বিক্ষুব্ধ কয়েকজনকে লাথি-ঘুষি মারতে দেখা গেছে। আদালতে নেয়ার পর তুরাব হত্যা মামলায় সাদেক কাউসার দস্তগীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।