‘স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ইউনানী চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৪৮:১১ অপরাহ্ন
ডাঃ এস. এম. আসাদুজ্জামান জুয়েল: সিলেট সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ আয়োজিত ‘ইন্টার্ন চিকিৎসক সমাপনী উৎসব ২০২৪’ গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারী ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মঈনূল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মো: জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা: মোস্তফা তৌফিক আহমেদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন ওসমানী মেডিকেলের ফিজিক্যাল মেডিসিন প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: মো: জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রের আদি যুগে মানুষ এলোপ্যাথিক চিকিৎসার পরিবর্তে গাছ-গাছালী হতে আহরিত রস, ফলমূল, ছাল, বাকল এসবের নির্যাসিত বা রস সেবনের মাধ্যমে রোগ বালাই দূর করতো। যার ধারাবাহিকতায় শুধু বেসরকারি নয় বরং সরকারিভাবে গড়ে উঠেছে ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এছাড়াও সরকার মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও তাদেরকে পদায়ন করছে।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হলে এলোপ্যাথিক, হোমিওপ্যাথিক এর পাশাপাশি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসারও গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশেষ অতিথি সহযোগী অধ্যাপক ডা: মোস্তফা তৌফিক আহমেদ বলেন, যান্ত্রিক এ যুগে মানুষকে এলোপ্যাথিক ও হোমিও প্যাথিক চিকিৎসাতেই সীমাবদ্ধ না থেকে, ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে চিকিৎসা নিতে সচেতন করা দরকার। তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হলে সরকার এ বিভাগটিকে সুবিবেচনায় নিতে পারে। কেননা, এদেশের মানুষের মনে হারবাল চিকিৎসার উপযোগিতা ও উপকারিতা যুগযুগ ধরে ধারণ করে আছে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, সিলেট বিভাগের একমাত্র সরকারি এ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে এর উন্নয়নে অবকাঠামোগত দিকসহ অন্যান্য সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা অতিসত্ত্বর সমাধান করা উচিত। জমকালো এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মানিত অতিথি হাকীম মো: নুরুল হক এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আব্দুল্লাহ আবিদ ও এলি জামান পপি খানম।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ডা: মো: মঈনূল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সিলেটের ঐতিহ্য প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন থেকে নীরবে সিলেটবাসীকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকে শত শত হাকীম (চিকিৎসক) পাশ করে দেশ-বিদেশেও আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। অথচ এই প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রচারণা তুলনামূলক কম। যেটি হওয়া মোটেও উচিৎ নয়। তাই, আমি মাত্র কিছু দিন পূর্বে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেবার পর থেকে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করেছি, যার সমাধান করা সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দায়িত্ব। আর- ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের পরে গঠিত বর্তমান অন্তবর্তী সরকার এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-নিয়োগসহ আনুষ্ঠানিক সমাধানে এগিয়ে আসবেন এ প্রত্যাশা আমাদের রইলো। অনুষ্ঠানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন- ওয়ালীউল্লাহ। অতিথিদেরকে শিক্ষক-ছাত্রদের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আব্দুল জলিল।