জেলা ইমাম সম্মেলন ও শ্রেষ্ঠ ইমাম বাছাই অনুষ্ঠান
শাস্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইমামরা অসামান্য ভূমিকা রাখছেন : জেলা প্রশাসক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৫:৩৩ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে নানামুখী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ইমামরা সমাজে শাস্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন। তারা সন্ত্রাস, মাদক ও যৌতুকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করে সমাজে অসামান্য ভূমিকা রাখছেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের এসডিজিতে বাংলাদেশ ছয়টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে মানসম্মত শিক্ষা। নানা জরিপ ও বিশ্লেষণে দেখা গেছে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের গণমুখী সম্পৃক্ততায় মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জনের পথ সহজ হচ্ছে। অপরদিকে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের উদ্দেশ্যকে ধারণ করে সারাদেশে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যা শিক্ষা সম্প্রসারণে ভূমিকা রাখছে।
সোমবার নগরীর ইসলামিক ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে জেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম সম্মেলন ও শ্রেষ্ঠ ইমাম বাছাই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
সৈয়দ ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক মাওলানা আবিদ হাসান। অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ইমামরা অংশ নেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সিলেটের উপপরিচালক মাওলানা শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে মসজিদের অবকাঠামো ব্যবহার করে শিশুদেরকে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করে ঝরে পড়া পড়া রোধ করছে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম। এর ফলে আলেম-ওলামাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেটের পরিচালক মোহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার বলেন, প্রশিক্ষিত ইমামরা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রমে নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। করোনাকালে যখন সন্তানরাও মা-বাবার লাশ ফেলে দৌড়ে গিয়েছিল, সেই লাশগুলোকে দাফনকাফনে এগিয়ে এসেছিলেন ইমাম-মুয়াজ্জিনরা।