ওসমানীনগরে ৪০ শতাংশ বিল তুলে ব্রিজের কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ মে ২০২৫, ১২:৪৯:২২ অপরাহ্ন

মো. কয়েছ মিয়া, ওসমানীনগর (সিলেট) থেকে : ওসমানীনগরে বুড়ি নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ এক বছরের অধিক সময় ধরে ফেলে রাখায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। গ্রামবাসী সংশ্লিষ্টদের বারবার অবগত করলেও কারো টনক নড়েনি। অন্যদিকে ব্রিজে নিম্ন মানের কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী।
জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামস্থ বুড়ি নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে প্রায় ১কোটি ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে টেন্ডার হলে আয়ান এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কাজ পাওয়ার পর কিছু অংশ কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দের ৪০ শতাংশ টাকা উত্তোলন করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে রাখেন।
গত বছরে বর্ষার পানি আসার অজুহাত দেখিয়ে আবার কাজ বন্ধ করে রাখেন। এরপর এবারের শুকনো মৌসুম চলে গিয়ে আবার বর্ষার মৌসুম চলে আসলে কিছু কাজ শুরু করে ফেলে রাখেন। আগামী ৩০জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ থাকলেও এক মাস সময়ের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন গ্রামবাসী। তারা দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।
ব্রিজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে দৌলতপুর গ্রামের সাথে গজিয়া-ফকিরাবাদসহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের সাথের যোগাযোগ সহজতর হবে। বর্ষা মৌসুমে দৌলতপুর গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে নৌকা ও সাঁকো ব্যবহার করেন। এতে তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিলাল দত্ত, অঞ্জন দাস, সুবেন্দ্র দাস, ছাদিক মিয়া, প্রাণেষ দাস বলেন, ব্রিজটি আমাদের গ্রামের একমাত্র চলাচলের মাধ্যম। শুকনো মৌসুমে সাঁকো আর বর্ষার দিনে নৌকা দিয়ে আমাদের পারাপার হতে হয়। ঠিকাদার কাজ পাওয়ার পর থেকে নিম্ন মানের কাজ করছেন। আমরা কাজটির মান ভালো করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করেছি। প্রশাসনের প্রতি আমাদের দাবি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি যেন সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেন।
আয়ান এন্টারপ্রাইজের মালিক রাজীবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, আমি ঠিকাদারের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার জন্য। ঠিকাদার ৪০শতাংশ বিল উত্তোলন করেছেন।
পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী চৌধুরী সুমন বলেন, এখানে ব্রিজ স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেক বার কথা বলেছি। ব্রিজটির কাজ দ্রুত শেষ না হওয়ায় মানুষের অনেক দুর্ভোগ হচ্ছে। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, কাজটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দিয়েছি।