সিলেটে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মহিলাসহ ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ জুন ২০২৫, ১:১১:৩০ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক : সিলেটের কানাইঘাট, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা এবং হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় গতকাল শনিবার ৩ ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ রয়েছেন।
কানাইঘাট : কানাইঘাট (সিলেট) থেকে নিজেস্ব সংবাদদাতা জানান, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে এক সন্তানের জনক তাজুল ইসলাম (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুরমা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তাজুল ইসলাম উপজেলার লক্ষ্মী প্রসাদ পশ্চিম ইউপির উত্তর লক্ষ্মী প্রসাদ (কুকুবাড়ী) গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তাজুল ইসলাম ইঞ্জিনচালিত নৌকায় যাত্রী নিয়ে সুরমা নদী হয়ে কানাইঘাট বাজারে আসছিলেন। আসার পথে সুরমা নদীর চাপনগর নামক এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ বজ্রপাত হলে তিনি নদীতে পড়ে যান। নদীতে পড়ে যাওয়ার পর নৌকার যাত্রীরা পানিতে খোঁজতে থাকলেও তাৎক্ষণিক তার কোন সন্ধান পাননি। প্রায় আধা ঘণ্টা পর পৌরসভার খেওয়াঘাট এলাকায় সুরমা নদীতে তার নিথর দেহ ভেসে ওঠে। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আউয়াল জানান, নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ধর্মপাশা : এদিকে, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, ধর্মপাশায় বজ্রপাতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের মগুয়ার চর গ্রামের আয়েশা আক্তার (৬৫) নামের এক মহিলা গতকাল শনিবার দুপুরে বাড়ীর সামনে শয়তান খাল নামক নদীতে গোসল করতে যান। গোসল শেষে বাড়ীতে আসার সময় বজ্রপাতের শিকার হোন। বজ্রপাতে তার সমস্ত শরীর ঝলসে গিয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। নিহত আয়েশা আক্তার উপজেলা সদর ইউনিয়নের মগোয়ারচর গ্রামেরক মৃত কুদ্দুস আলীর স্ত্রী।
নবীগঞ্জ : এছাড়া, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের শৈলাগর হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যক্তি। নিহতের নাম মরশিদ মিয়া (৫১)। তিনি রামপুর গ্রামের মৃত হাসেম আলীর পুত্র।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা বেলা দেড়টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো তিনি শৈলাগর হাওরে মাছ ধরতে যান। সন্ধ্যার দিকে আকস্মিকভাবে আকাশে মেঘ জমে এবং শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টি। এসময় হাওরের মাঝখানে থাকা অবস্থায় হঠাৎ এক প্রচন্ড বজ্রপাত ঘটে, যা মরশিদ মিয়াকে আঘাত করে।
স্থানীয় লোকজন দ্রুত ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের নির্দেশে থানার এসআই রিপন চন্দ্র শীল ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: কামরুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।