সুরমা-কুশিয়ারার পানি এখনো বিপদসীমার উপরে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুন ২০২৫, ৭:১১:৩৭ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে ভারি বৃষ্টি কিছুটা কমলেও সীমান্তের ওপারে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল এখনো নামছে। তবে সার্বিক দিক থেকে পানি বৃদ্ধি স্থিতিশীল রয়েছে। নদ-নদীতে গতকাল মঙ্গলবার সকালের দিকে পানি বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যায় আর বাড়েনি। বৃষ্টিপাতও হয়নি। ফলে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে রয়েছে।
এদিকে, নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত না হলেও সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম ও রাস্তা এখনো প্লাবিত রয়েছে। তবে শহর থেকে পানি নেমে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে আগের দিনের মতো বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৯৯ মিটার ওপরে। অমলশিদ পয়েন্টে ১ দশমিক ৯৪ মিটার, শেওলা পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৪৮ মিটার ওপওে এবং ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৫৬ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো। এছাড়া, সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ছাড়াও জেলার ধলাই, লোভা, সারি ও ডাউকি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। কেবল সারি- গোয়াইন নদের পানি আজ কিছুটা কমেছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও ওসমানীনগর উপজেলার নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর একাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক বাড়িঘরে পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া বেশ কিছু গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় অনেকেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে বন্যাকবলিত মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছেন।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বলেন, ঠিক কতটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, কত মানুষ পানিবন্দি আছেন, তা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। তবে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুটি পরিবারের মোট ৯ জন ঠাঁই নিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, ‘সিলেটে বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমে এলেও ভারত থেকে সীমান্তবর্তী নদ-নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল আসা অব্যাহত আছে। এতে বৃষ্টি কমলেও পানি বাড়ছে। তবে ভারতেও বৃষ্টি কমে আসছে। এ ছাড়া, ভাটিতেও পানি দ্রুত গতিতে চলে যাচ্ছে। তাই নতুন করে বৃষ্টি না হলে দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আমরা ধারণা করছি।’