মেজরটিলায় দেড় মাসের শিশুকে গলাকেটে হত্যা, পিতাও ছুরিকাহত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুন ২০২৫, ৯:১৫:৪০ অপরাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক : সিলেট নগরীর মেজরটিলা এলাকায় নিজ বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেড় মাস বয়সী এক শিশুকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। একই সময় ধারালো ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা। বুধবার (২৫ জুন) ৫টার মেজরটিলা বাজার সংলগ্ন ইসলামপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই মেয়ের নাম ইনায়া রহমান। সে নগরীর মেজরটিলা বাজার সংলগ্ন ইসলামপুর এলাকার সিএনজি অটোরিকশা চালক আতিকুর রহমানের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, পরিবার নিয়ে নগরীর মেজরটিলা বাজার সংলগ্ন ইসলামপুর এলাকার আনসার মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আতিকুর। প্রতিদিনের মতো বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে খাবার খাওয়ার পর স্ত্রীসহ আতিকুর রহমানের পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। বিকেলে হঠাৎ চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দেখতে পান আতিকুর রহমানের পাশে তার ২ মাসের মেয়ে ইনায়া রহমানের গলাকাটা এবং পাশেই সিএনজি অটোরিকশা চালক আতিকুর রহমানের গলা অর্ধেক কাটা রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাচ্চা শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন এবং তার পিতা আতিকুর রহমানকে দ্রুত ভর্তি করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বর্তমানে আতিকুর রহমান সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ম তলায় ওপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসা চলছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল রাজন।
সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) শাহপরাণ (রহ.) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, ‘আমরা খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং প্রাথমিক তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।’
নিহত নবজাতকের মা নাজমা বেগম বলেন, ‘আমরা বিকেলে মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আসরের আজানের কিছুক্ষণ আগে কান্না করছিল। এ সময় বাচ্চার বাবা আমার মেয়েকে শ্বান্তনা দিতে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটছিলেন। কিছু সময় পরে তিনি (স্বামী) আমার শরীরে হাত দিয়ে ডাকেন। এ সময় আমি ঘুম ঘুম চোখে থাকিয়ে দেখি আমার স্বামীর গলা রক্তাক্ত। পরে দ্রুত ওঠে গিয়ে দেখি আমার মেয়েরও গলাকাটা।‘
তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক। সকালে নাস্তা খেয়ে তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে যান। দুপুরের দিকে বাসায় এসে বলেন তার মাথা ব্যাথা করছে। পরে নামাজ পরে খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।‘
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে পুলিশের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন।