সিকৃবিতে ৫ মাসে বানরের আক্রমণে শতাধিক ছাত্রী আহত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৪৯:০৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ছাত্রী হলে বানরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ মাসে আবাসিক হলের প্রায় শতাধিক ছাত্রী বানরের আক্রমণে আহত হয়েছেন। এতে করে ছাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টিলা ও গাছপালা ঘেড়া ছাত্রীদের দুররে সামাদ রহমান হল ও সুহাসিনী দাস হলে খাবারের সন্ধানে বানর দল বেঁধে হানা দেয়। সম্প্রতি বানরের উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় বন বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ২টি হলের চার পাশে নেট দিয়ে ঘেরাও দেয়া, হলের পার্শ্ববর্তী গাছের ডালপালা ছাটাই, ট্রেপ স্থাপনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি করেছে। তদোপরিও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বানরের উৎপাত।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নগরের টিলাগড় এলাকায় অবস্থিত। এখানের উঁচুনিচু টিলায় বিভিন্ন প্রজাতির বানর রয়েছে। যেগুলো এই এলাকায় আসা বিভিন্ন মানুষকে আক্রমণ করে।
রোকেয়া ইয়ামিন মহনা নামে ছাত্রাবাসের এক শিক্ষার্থী জানান, এখন অনেকের ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যে আবার এমন আক্রমণ করলে আমরা কিভাবে পরিক্ষার প্রস্তুতি নিবো। সবসময়ই একটা আতঙ্কের মধ্যে আমাদের থাকতে হয়। এটার সঠিক সমাধান চাই।
এদিকে, বানরের উপদ্রব থেকে রক্ষা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বুধবার সিকৃবি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদার ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বন ভবনে বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. সানাউল্লাহ পাটোয়ারী এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সাথে বৈঠক করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বানরের আক্রমণ থেকে ছাত্রীদের রক্ষার জন্য বন বিভাগের প্রতি দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আহবান জানালে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে সিকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম বলেন, বণ্যপ্রাণি নিয়ন্ত্রণ আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ সত্বেও এই সমস্যা নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্রী হলের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি আহতদের সুচিকিৎসা ও ভ্যাক্সিন প্রদানের ব্যবস্থা সহ বানরের আক্রমণ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের যথাসাধ্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিষয়টির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত করেন। এই বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধৈর্য সহ সচেতনভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আহবান জানান। শিক্ষার্থীদের যে কোন ধরনের নিরাপত্তা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রশাসন সচেষ্ট ও বদ্ধপরিকর।




