র্যাগিং ইস্যুতে বহিষ্কারের প্রতিবাদে শাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ৫:১৭:৫০ অপরাহ্ন
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) এক বছর আগের র্যাগিং ইস্যুতে অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে প্রক্টর অফিসে যান। সেখান থেকে ফের গোলচত্ত্বরে এসে সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলের সমাপ্তি করেন তারা।
মিছিল চলাকালে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন “প্রহসনের বহিষ্কার মানি না, মানবো না”, “প্রহসন না প্রশাসন, প্রহসন প্রহসন”, “আমাদের দাবি, আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে”, “সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান, এক হও, এক হও”, “প্রশাসনের সৈরাচারিতা মানি না, মানবো না”, “জাস্টিস, জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস” ইত্যাদি।
প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থানকালে অর্থনীতি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হাফিজুর ইসলাম হাফিজ বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাটক শুরু করেছে। আর এই নাটকের স্ক্রিপ্ট যায় প্রক্টর অফিস থেকে। আমাদের প্রক্টর ডিবি হারুনের মতো স্ক্রিপ্ট বানান। নাট্যমঞ্চ সাজিয়ে শিক্ষার্থীদের জিম্মি করতে চায় তারা। জিম্মি করার যে পাঁয়তারা, সেটা সাস্টে চলবে না। আমরা কারও কাছে জিম্মি থাকতে চাই না।”
পরবর্তীতে গোলচত্ত্বরে এসে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আজকের কর্মসূচি সমাপ্ত করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, “উপাচার্য ও আমি দুই বিভাগের প্রধানদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে আমরা বলেছি, শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা দেখুক এবং বিভাগের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে আপিলের জন্য আবেদন করুক। তাহলে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দিকে যাবে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ২৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় র্যাগিং ইস্যুতে অর্থনীতি ও পরিসংখ্যান বিভাগের ৫ জন নারীসহ মোট ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কৃত সবাই ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে একজনকে আজীবন, বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং সবাইকে আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।




