অ্যাডভোকেট শিশির মনিরের প্রচেষ্টার ফল
শাল্লার ফয়েজউল্লাহপুরে নদী ভাঙন রোধে ৯০ লাখ টাকার জরুরি বরাদ্দ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৫৪:০৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের শাল্লার ফয়েজউল্লাহপুর এলাকাকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করতে জরুরিভিত্তিতে ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই অর্থ দিয়ে ২১ হাজার জিও ব্যাগ নদীর তীরে ফেলা হচ্ছে। পাউবো ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছে।
পাউবো সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী এমদাদুল হক সিলেটের ডাককে জানিয়েছেন, শাল্লার ফয়েজউল্লাহপুর এলাকায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙনে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অ্যাডভোকেট শিশির মনির সম্প্রতি আমাদের মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সাথে দেখা করে ফয়েজউল্লাহপুর রক্ষার দাবি জানান। তার দাবির প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা মহোদয় তাৎক্ষণিকভাবে ৯০ লাখ টাকা জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। এই অর্থ দিয়ে মাটি ভর্তি ২১ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এর ফলে নদী ভাঙন রোধ হবে বলে আশা করা যায়। তিনি বলেন, স্থায়ীভাবে নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙনের ফলে ফয়েজউল্লাহপুর এলাকার বাসিন্দারা অসহায় অবস্থায় পড়েছেন। নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে বেশকিছু ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গেল ১৪ সেপ্টেম্বর (রোববার) সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির সরেজমিনে ফয়েজউল্লাহপুর যান। তিনি গ্রামের লোকজনকে সাথে নিয়ে নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। নদী ভাঙন কবলিত লোকজন তাদের দুর্দশার চিত্র তুলে ধরলে শিশির মনির বিষয়টি নিয়ে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আলোচনা করে জরুরি বরাদ্দ মঞ্জুর করার আশ্বাস দেন।
এর প্রেক্ষিতে গেল ১১ অক্টোবর অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির সরকারের পরিবেশ ও পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দ রিজওয়ানা হাসানের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠককালে তিনি উপদেষ্টার নিকট শাল্লার উপজেলার ফয়েজউল্লাহপুর,প্রতাবপুর,মেদা বাজার ও গ্রাম শাল্লা নদী ভাঙ্গনের বিষয় তুলে ধরেন।
সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে জরুরি বরাদ্দের জন্য অনুরোধও জানান। ওই বৈঠকের পরই পানি সম্পদ উপদেষ্টা ফয়েজউল্লাহপুর নদী ভাঙ্গনের রোধে জরুরি ভিত্তিতে ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেন।
অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির জানান, নদী ভাঙনের কবল থেকে স্থায়ীভাবে গ্রামগুলোকে রক্ষা করা গেলেই সফলতা আসবে। এটি সাময়িক পদক্ষেপ। দিরাই শাল্লার নদী ভাঙন কবলিত গ্রামগুলো রক্ষায় পরিকল্পিতভাবে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের জন্যে উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছি।




