চ্যানেল আইতে আজ প্রচারিত হবে সাক্ষাৎকার
মায়ের অসুস্থতা থেকেই চিকিৎসক হবার স্বপ্ন দেখেছিলেন ডা: জিয়াউল করিম
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৫:১৩:২৮ অপরাহ্ন
ডা: এস.এম. আসাদুজ্জামান জুয়েল : মায়ের অসুস্থতা তাকে খুবই পীড়া দিত। মনে মনে এই প্রত্যাশা করতেন যে, নিজে চিকিৎসক হতে পারলে মাকে চিকিৎসা দিতে পারতেন। সেই প্রত্যাশা থেকেই চিকিৎসা পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন ঢাকাস্থ জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউটের রেসপিরেটরি মেডিসিনের সহকারী অধ্যাপক ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের (এসওএমসি) সাবেক ভিপি ডা: মো: জিয়াউল করিম জিয়া।
৬৩তম এসওএমসি ডে উপলক্ষে চ্যানেল আই’তে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। ‘চেনা মুখ-দুঃখ-সুখ’-শিরোনামে প্রকাশিত এ অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় রয়েছেন পপশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ। অনুষ্ঠানটি প্রতি বুধবার বাংলাদেশে বিকেল সাড়ে ৫টায় চ্যানেল আই’তে প্রচারিত হয়। আজ এই সময়ে প্রচারিত হবে ডা: জিয়াউল করিমের সাক্ষাৎকার।
সাক্ষাৎকারে ডা: জিয়া বলেন, তার মা রিউম্যাটয়েড আথ্রাইটিসের রোগী ছিলেন। এজন্য ছোটকাল থেকেই ডাক্তার হবার চিন্তা লালন করতাম। সেই ইচ্ছা থেকেই মূলত তার ডাক্তার হওয়া।
সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। ফুসফুস সতেজ রাখতে ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
ডা: জিয়া ১৯৮৩ সালে স্টার মার্কস পেয়ে জামালপুর জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৮৫ সালে তিনি রেকর্ড মার্কস নিয়ে এইচ.এস.সি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ভর্তি হন। সেখানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির পাশাপাশি দৈনিক সিলেট বাণীর মেডিকেল রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি, ছাত্র সংসদের ১৯৯২-৯৩ সেশনের ভি.পিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভের পর ডা. জিয়া ঢাকায় বক্ষব্যাধির ওপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সস্টিটিউটে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি ‘ড্যাব’-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও রয়েছেন।
পাশাপাশি ‘চ্যানেল আই’-য়ে প্রতি শনিবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে প্রচারিত ‘আপনার সুস্বাস্থ্য’ এবং প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১১ টা ৪০ মিনিটে প্রচারিত ‘টেলিপ্রেসক্রিপশন’ নামক অনুষ্ঠানের উপস্থাপক তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ২ সন্তানের জনক। তার স্ত্রী গাইনী বিশেষজ্ঞ। তাঁর জন্মস্থান জামালপুর জেলা সদরে। ৩ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে তিনি ৩য়। তাঁর বাবা আব্দুর রাজ্জাক সরকারী চাকুরিজীবী ছিলেন এবং মাতা খোদেজা বেগম গৃহিণী। জাতীয় বক্ষব্যাধি ইন্সস্টিটিউট হাসপাতালের তিনি হোস্টেল তত্ত্বাবধায়ক (সুপার) এবং ঢাকাস্থ মহাখালী মডেল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
প্রসঙ্গত, সিলেটের প্রতি কৃতজ্ঞতাবশত তিনি এখনও প্রতিমাসে পূর্বের ন্যায় সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলায় রোগী দেখেন।




