ওসমানীনগরের সেই অস্ত্রধারী জাকিরের দুই বছরের কারাদন্ড
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১:৪৬:৫৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় পিতা-পুত্রকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামী উপজেলার মোল্লাপাড়ার (চেবার পাড়া) মৃত ময়না মিয়ার ছেলে জাকির আহমদ (৩৪)-এর দুই বছরের কারাদন্ড হয়েছে। মামলার অপর দুই আসামী একই গ্রামের মৃত আশরাফ মিয়া ওরফে কমলার ছেলে মাছুম মিয়া (৩৫) ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুর রহিম (৩৫)-কে খালাস দেয়া হয়েছে। সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গতকাল মঙ্গলবার মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী একেএম শমিউল আলম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রায়ে আদালত এক ব্যক্তিকে সাজা এবং বাকি দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৯ এপ্রিল দুপুরে ওসমানীনগর থানাধীন মোল্লাপাড়া (চেবারপাড়া) এলাকার জালাল উদ্দিন তার বর্গা চাষকৃত জমি থেকে শ্রমিক নিয়ে ধান কাটার সময় আসামী জাকির আহমদ তার হেফাজতে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জালাল উদ্দিনকে ধান কাটার কাজে বাধা দেয়। জালাল উদ্দিন ও তার ছেলে নাইম মিয়া প্রতিবাদ করায় গ্রেফতারকৃত আসামী জাকির আহমদ তার অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে পিতা-পুত্র গুলিবিদ্ধ হন। তারা বেশকিছুদিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই দিনই জালাল উদ্দিনের মেয়ে তাহমিনা বেগম (২৬) বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় মামলা করেন।
পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত জাকির আহমদকে তার বসতঘর থেকে গ্রেফতার করে এবং গ্রেফতার পরবর্তী জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার দেখানো মতে, তার বসতঘরের ভিতরে টয়লেটের ফলস্ ছাদের উপর থেকে একটি পুরাতন কালো, নীল ও ছাই রঙের সুতির লুঙ্গি দিয়ে মোড়ানো ১ টি দেশীয় তৈরি কাঠের বাটযুক্ত সচল ওয়ান শুটার পাইপগান, ১টি দেশীয় তৈরি কাঠের বাটযুক্ত সচল পাইপগান, ৬ রাউন্ড লাল রঙের তাজা কার্তুজ, ১টি সবুজ রঙের কার্তুজ এর খালি খোসা, ১ টি লাল রঙ্গের মকমল কাপড় দ্বারা তৈরি গুলি রাখার খালি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। পরে বাকি দুই আসামীকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি এবং পিতা-পুত্র আহত হবার ঘটনায় তাহমিনা অপর মামলা দায়ের করেন। গতকাল তাহমিনার দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তবে, অস্ত্র মামলাটি এখনো আদালতে শুনানী হচ্ছে।




