সেচ ব্যবস্থাপনার অভাবে গড়াইয়ার হাওরের শতাধিক একর জমি অনাবাদের আশঙ্কা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ৫:৪৩:১২ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : দক্ষিণ সুরমার গড়াইয়ার হাওরের কৃষকরা সেচ ব্যবস্থাপনার অভাবে বোরো মৌসুমে শতাধিক একর জমি কৃষির আওতায় আনতে পারছেন না। উপজেলার বরইকান্দি, কামুশানা , ধরাধরপুর, তেতলী ও তেলিবাজার সংলগ্ন সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়কের পূর্ব -পশ্চিম পাশে গড়াইয়ার হাওর বিস্তৃত। এই হাওরে আউশ-আমনসহ ব্যাপক বোরো ফসল উৎপাদন করেন কৃষকেরা। বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণে অধিকাংশ জমি পতিত থাকে। উঁচু জমিতে কিছু কিছু আউশ আমন ফসল উৎপাদন করেন কৃষকেরা। কিন্তু কৃষি বিভাগের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোন সুষ্ঠু সেচ ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা বোরো ফসল উৎপাদনে পিছিয়ে রয়েছেন।
বরইকান্দি গ্রামের জালাল হোসেন জানান, সুরমা নদী থেকে সেচের পানি উত্তোলন করে বোরো ফসল উৎপাদন কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল। ফলে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সিলেট জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কৃষি অফিস, সংশ্লিষ্ট এলাকার উপ সহকারী কৃষি অফিসার কৃষকদের পানি সেচসহ অন্যান্য সহযোগিতায় এগিয়ে এলে কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন এবং কৃষি উৎপাদনে কৃষকরা উৎসাহিত হবেন।
লাউয়াই গ্রামের আলী আহমদ খান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। সরকার কোন কৃষিজমি যেন অনাবাদী না থাকে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। কৃষি বিভাগকে সেচ, সার ও কৃষি যন্ত্রপাতিসহ কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রাজীব হোসেন জানান, তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় নতুন যোগদান করেছেন। বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে সংশ্লিষ্ট কৃষকরা দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করলে বিএডিসি প্রতিনিধি ও উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেবেন।