তিনদিনব্যাপী শিলচর সিলেট উৎসব আজ শুরু
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:১৪:৪৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপনে তিনদিনব্যাপী ‘শিলচর সিলেট উৎসব-২০২২’ আজ শুক্রবার থেকে শিলচরের পুলিশ প্যারেড গ্রাউন্ডে শুরু হচ্ছে। ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, নতুন দিল্লী ও বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে এ মৈত্রী উৎসবের। এই উৎসবে দুই অঞ্চলের আদিবাসী সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি আলোচনায় অংশ নেবেন দুই দেশের বিশিষ্টজনেরা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পর্যটন, নদী, পানি ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়াদি আলোচনায় উঠে আসবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, উৎসবটি ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শুরু হয়ে শেষ হবে ৪ ডিসেম্বর বিকেলে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের নেতৃত্বে ছয় জন মন্ত্রী, বার জন এমপি, শিক্ষাবিদ ও শিল্প উদ্যোক্তারা যাচ্ছেন শিলচরে। সিলেট চেম্বার সভাপতি তাহমিন আহমদের নেতৃত্বে ৩৫ সদস্যের ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক প্রতিনিধি দল উৎসবে যোগ দেবে।
অপরদিকে, ভারতের তরফ থেকে দিল্লীর কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিসহ আসাম, মণিপুর ও মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীরা থাকবেন এই উৎসবে।
আসামের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের যে নতুন দুয়ার খুলছে এটি তার প্রথম পদক্ষেপ বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
তারা জানান, সিলেট থেকে ইতোমধ্যে বিশিষ্টজনরা ভারতে গিয়ে পৌঁছেছেন। সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সমন্বয়ে ‘সিলেট-শিলচর উৎসব’-এ অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন এ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনরা। আমন্ত্রণ পাওয়া ব্যক্তিরা শুক্রবার শিলচরে গিয়ে পৌঁছবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
একটি সূত্র জানায়, আসামের শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়ের উদ্যোগেই এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এই উৎসবের ফলে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সিলেটসহ আমাদের রাজধানীর সংযোগ আরো বাড়বে। গতি আসবে ব্যবসা ও বিনিয়োগে।
জানা যায়, সিলেট-শিলচর উৎসবে সেখানকার তিনজন মুখ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পাশাপাশি সম্পর্কের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। উত্তরপূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মধ্যে রয়েছে, আসাম, মেঘালয়, মনিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যাণ্ড ও অরুণাচল প্রদেশ।
এরমধ্যে আসাম, মেঘালয়ের সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট বিভাগের বড় সীমান্ত রয়েছে। ১৯৪৭ সালের আগে আসাম-সিলেট একসঙ্গেই ছিল। দেশভাগের পরে শহর দুটি আলাদা হয়ে যায়। বর্তমানে ঢাকা ও দিল্লী সরকার চাইছে, এই শহর দুটির মধ্যে নতুন করে সংযোগ বাড়ানোসহ ব্যবসা ও বিনিয়োগের নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে।