জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজে পিঠা উৎসব
খাদ্যরসিক বাঙালির প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক খাবার পিঠা — দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:৪৯:৫৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পিঠা উৎসবে মাতলেন শিক্ষকরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান উপমহাদেশের প্রখ্যাত দানবীর ড. রাগীব আলী পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে, তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির আয়োজন। তিনি বলেন, খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছেন। তবে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপূণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। ড. রাগীব আলী বলেন, এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন অনেকটাই কমে এসেছে। এ ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন আমাদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
মেডিকেল কলেজের টিচার্স রিফ্রেশমেন্ট রুমে আয়োজিত পিঠা উৎসবের সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: আবেদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার ও দৈনিক সিলেটের ডাক এর সম্পাদক আব্দুল হাই। বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: এ কে এম দাউদ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: তারেক আজাদ। শিক্ষকদের আয়োজনে পিঠা উৎসবের আয়োজক সহযোগী ছিলো স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুল হাই বলেন, এদেশের নারী সমাজ লোকজ শিল্পকর্মে অত্যন্ত নিপুণ এবং সুদক্ষ। এলাকা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন বা আলাদা রকম পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। নারীরা সেই পিঠার অন্যতম কারিগর। মায়ের হাতে পিঠার মজাই আলাদা। তিনি বলেন, বিশেষ করে শীতের সময় বাহারি পিঠার উপস্থাপন ও আধিক্য দেখা যায়। বাঙালির লোক ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। আমাদের এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হবে।
অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: আবেদ হোসেন বলেন, বাহারি পিঠার আয়োজন আমাদের লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহি:প্রকাশ। যান্ত্রিক সভ্যতার এই ইট-কাঠের নগরীতে হারিয়ে যেতে বসেছে পিঠার ঐতিহ্য। সময়ের স্রোত গড়িয়ে লোকজ এই শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠলেও এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন অনেকটাই কমে এসেছে। চিকিৎসক সমাজতো আরো ব্যস্ত। এই সময়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করতে পেরে ভালো লেগেছে। তিনি পিঠা উৎসব আয়োজনে সহযোগী হওয়ায় স্কায়ার ফার্মাসিউটিক্যালসকে ধন্যবাদ জানান।
পিঠা উৎসবকে ঘিরে কিছু সময়ের জন্য হলেও অন্যরকম উৎসবে মেতে উঠেছিলেন চিকিৎসকরা। সবাই মিলে একত্রে পিঠা খেতে বসেন। আনন্দঘন পরিবেশে তারা সময় কাটান।