বাংলাদেশকে মৈত্রী দিবসের শুভেচ্ছা জানালো ভারতীয় হাইকমিশন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:১৩:০৩ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের ৫১তম বার্ষিকী উপলক্ষে ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশনের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এ বার্তা জানানো হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গত বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরকালে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রতিবছর ৬ ডিসেম্বর ‘মৈত্রী দিবস’ পালনের এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
৬ ডিসেম্বর এখন আর শুধু বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি প্রদানের দিনই নয়, এর ব্যাপ্তি ছড়িয়ে যায় দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে।
এবারও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উভয়দেশে দিনটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ভারত দুটি ভিন্ন দেশ হলেও উভয় দেশের জনগণের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধনে আবদ্ধ। একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী যখন নিরীহ বাংলাদেশীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন ভারত সরকার, ভারতের জনগণ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী আমাদের বিপন্ন মানুষের পাশে দাড়িয়ে এই বন্ধনকে স্থায়ী রূপ দিয়েছিল।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ছিনিয়ে আনতে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসংখ্য সদস্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই রচিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত দুইদেশের মৈত্রী বন্ধন। বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতি এ বন্ধন রচনার ভিত্তিমূল দৃঢ়তর করতে বন্ধপরিকর। তারই অংশ হিসাবে ২-৪ ডিসেম্বর শিলচর-সিলেট উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সাংস্কৃতিক বন্ধন, ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, রন্ধন ঐতিহ্য ও দ্বি-পাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের মতো বহুবিধ বিষয়ে দুদেশের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে উভয়দেশ একমত হয়।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি সিলেট শাখার আহ্বায়ক সুব্রত চক্রবর্ত্তী জুয়েল, দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।