বিজয়ের মাস
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ৪:৪৮:৩৭ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : পাকিস্তানের সকল পরিকল্পনাই ভেস্তে যাচ্ছে। এলাকাতে তারা পরাজিত হচ্ছে একের পর এক। দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের পরাজয় যে অনিবার্য এটা জেনে যায়। এজন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠে।
১৯৭১ সালের এই দিনে তারা নির্বিচারে হত্যা-লুণ্ঠন-ধর্ষণসহ নানারকম পৈশাচিক নির্যাতনে মেতে ওঠে। সিলেট, ঢাকা ও এর আশপাশ এবং সারা দেশে বেড়ে চলে লাশের মিছিল। অন্যদিকে, ভারতীয় মিত্র বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা রাজধানীর দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
আজকের দিনে শত্রু’র সঙ্গে মুখোমুখি যুদ্ধে শহীদ হন বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনী যুদ্ধ শেষে শত্রুমুক্ত করে আশুগঞ্জ। আশুগঞ্জ হাতছাড়া হওয়ার পর একেবারেই তেঁতে পড়ে পাকিস্তান সেনারা। কারণ রাজধানী রক্ষার জন্য আশুগঞ্জ পয়েন্ট ছিল প্রতিরক্ষা ব্যূহ। আশুগঞ্জ দমন করার পর দুর্বার গতিতে রাজধানীর দিকে এগিয়ে যেতে থাকে যৌথ বাহিনী। মিত্র বাহিনীর গতি বাড়াতে বিকেলে ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামানো হয় নরসিংদীর রায়পুরায়। ঠিক এমন সময় পাকিস্তান বাহিনীর মনোবল বাড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে এইদিন মরক্কো প্রণালীর পূর্বদিকে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পাকিস্তানের আরেক মিত্র চীন এইদিন থেকে ভারতের প্রতিবেশী সিকিম ও ভুটান সীমান্তে সেনা সমাবেশ শুরু করে।
অন্যদিকে, ভারতীয় সেনাপ্রধান পাকিস্তানি জেনারেলের প্রতি আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগাশাহী এইদিন মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করে তার দেশের সৈন্য প্রত্যাহারের কথা ব্যক্ত করেন। এভাবে বাংলাদেশের বিজয় যত নিকটবর্তী হয় দেশী-বিদেশী তৎপরতা তত জোরদার হতে থাকে। সবকিছু পেছনে ফেলে মুক্তিসেনারা এগিয়ে যায় বিজয়ের দিকে।