ব্রাজিলকে কাঁদিয়ে সেমিতে ক্রোয়েশিয়া
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:০৯:২৮ অপরাহ্ন
স্পোর্টস ডেস্ক : রাশিয়া বিশ্বকাপে অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে একটি ম্যাচও হারেনি ক্রোয়েশিয়া। কাতার বিশ্বকাপে যেন একই চিত্রনাট্য লিখছে তারা।
গতবারের মতো এবারও টাইব্রেকারে জিতে সেমিফাইনালে পা রাখলো গত আসরের রানার্সআপরা। কাঁদিয়েছে হেক্সা জয়ের মিশনে আসা ব্রাজিলকে। ভাগ্য নির্ধারণের খেলায় ৪-২ ব্যবধানে জিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শেষ চার নিশ্চিত করেন লুকা মদ্রিচরা।
মার্কিনিয়োসের শটটা পোস্টে লাগার সঙ্গে সঙ্গেই জার্সি দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললেন রদ্রিগো। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এমন দুর্বিষহ রাতটা কি ভুলতে পারবেন তিনি। নিশ্চিত করে বলা যায় রাতটা নির্ঘুমে কাটবে এই ফরোয়ার্ডের। কেন নয়! টাইব্রেকারে ব্রাজিলের হয়ে প্রথম শটটি নিতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি। বাঁ দিকে ঝাপিয়ে পড়ে তার শট ঠেকিয়ে দেন ডমিনিক লিভাকোভিচ। পরে পেদ্রো ও কাসেমিরো গোলের দেখা পেলে ব্রাজিলের আশা কিছুটা বাড়ে। চতুর্থ শটটি পোস্টে লাগিয়ে ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের অপেক্ষা আরো বাড়িয়ে দিলেন মার্কিনিয়োস। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে চারটি শটের প্রতিটিতে গোল করেন নিকোলা ভ্লাসিচ, লাভ্রো মায়ের, লুকা মদ্রিচ ও মিসলাভ ওরসিচ। তাদের একজনের শটেও হাতের নাগাল পাননি ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আলিসন বেকার। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ভুত যেন তাড়া করেছিল। কেননা টাইব্রেকারে ব্রাজিলের সবশেষ হারটা সেই বিশ্বকাপেই। যেখানে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরেছিল সেলেসাওরা। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা এবারও বিদায় নিল সেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। সেটাও টানা দ্বিতীয়বার।
এডুকেশন স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও যখন আলাদা করা যায়নি তখন খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। নেইমারের গোলে অবশেষে ডেডলক ভাঙে ব্রাজিল। ১০৫ মিনিটে অপ্রতিরোধ্য থাকা ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে পরাস্ত করেন তিনি। লুকাস পাকেতার সঙ্গে ওয়ান-টু করার পর ডান প্রান্ত থেকে সুক্ষ্মকোণ দিয়ে বল জালে জড়ান নেইমার। এই গোলের মাধ্যমে কিংবদন্তি পেলেকে ছুলেন এই ফরোয়ার্ড। ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ৭৭ গোল নিয়ে পেলের সঙ্গে শীর্ষে আছেন তিনি। কিন্তু বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি ব্রাজিল। গোলমুখে একটি মাত্র শট নিল ক্রোয়েশিয়া। আর তাতেই গোল। ১১৭ মিনিটে ওরসিচের পাস থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে জাল খুঁজে নেন পেতকোভিচ। তার গোলেই সমতা ফিরিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে ক্রোয়াটরা। এরপর কোন পক্ষ আর গোল দিতে না পারায়। শেষ পর্যন্ত খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়।