বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে লিডিং ইউনিভার্সিটি’র স্মরণসভা
মানুষের জন্যই আমার সবকিছু উৎসর্গ করেছি ——–দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:২৬:২২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : পনের বছর আগে পরপারে পাড়ি জমিয়েছিলেন সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী। মৃত্যুর এতগুলো বছর পরও মানুষ ভুলেনি মানবদরদী এই মানুষটিকে। গতকাল সোমবার তাঁর ষোলতম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সেই স্বাক্ষরই বহন করে। দূর-দূরান্ত থেকে বিপুল মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে মহীয়সী এই নারীর প্রতি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা, গভীর শ্রদ্ধাবোধ। অনেকেই রাবেয়া খাতুন চৌধুরীকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে নীরবে ফেলেছেন চোখের জল।
সকালে রোদ থাকলেও শীতের তীব্রতা কম ছিলো না। সেই শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে শহরতলীর কামালবাজারস্থ রাগীবনগরে অবস্থিত মানবদরদী মরহুমা রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। সবাই একে একে নিবেদন করেন শ্রদ্ধাঞ্জলি। শীতের সকালে একজন মহীয়সী নারীকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের এই ছুটে আসা, অন্যরকম এক আবহ তৈরি করে কবরের চারপাশে।
২০০৬ সালের এই দিনে সবাইকে কাঁদিয়ে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নিয়েছিলেন এই শিক্ষানুরাগী পরোপকারী মহীয়সী নারী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী। মৃত্যু তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলেও মানুষের মনে এখনো তিনি চিরঞ্জীব। যতদিন তাঁর কর্ম বেঁচে থাকবে, ততদিন মানুষ তাকে মনে রাখবে। দেশবরেণ্য শিল্পপতি ও সমাজহিতৈষী দানবীর ড. রাগীব আলীর সকল সুকীর্তির, সকল সাফল্যের একনিষ্ঠ সহচর ও সমাজের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মহৎ কাজের মূল উৎস তিনি। তাইতো সকাল থেকে অন্য সবার মতো দানবীর ড. রাগীব আলীও উপস্থিত থেকে দেখেছেন তাঁর সহধর্মিণীর প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা। আর সেই দৃশ্যগুলো তাকে গভীরভাবে আবেগাপ্লুত করেছে।
কবরস্থানের পাশেই রয়েছে মসজিদ। সকাল থেকে মসজিদের মাইক থেকে ভেসে আসছিলো পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত। সেই তেলাওয়াত চারপাশে অন্যরকম আবহ তৈরি করে। সেই সাথে একের পর এক চলছে কবর জিয়ারত, দোয়া-দরুদ। সবমিলিয়ে বলা যায়, চারপাশ শোক ও শ্রদ্ধার পরিবেশে পরিণত হয়। সময় যত গড়ায় ততই বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়।
পরে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা। সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটি এই স্মরণসভার আয়োজন করে। সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগীব আলী ভবনের গ্যালারি-১-এ এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি ও লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার বনমালী ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মহীয়সী বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর জীবন ও কর্মের উপর বক্তব্য রাখেন রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন ও লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন ও লিডিং ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সাদিকা জান্নাত চৌধুরী, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবেদ হোসেন, ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এ.কে.এম. দাউদ, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. তারেক আজাদ চৌধুরী, আমেরিকার সাউথ ক্যারলিনায় অবস্থিত ক্ল্যাফলিন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এবং বায়োটেকনোলজি বিশেষজ্ঞ ড. এম. কামাল চৌধুরী, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর নির্বাহী সম্পাদক, বিশিষ্ট গবেষক আবদুল হামিদ মানিক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার সভাপতি ও দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল খালিক, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিল উদ্দিন, বিশিষ্ট তথ্যচিত্র নির্মাতা আর এস মাল্টিভিশনের সিইও জুলফিকার রহমান সাইদ, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাদিয়া মালিক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশিষ্ট কলসালটেন্ট ডার্মাটোলজিস্ট ডা. ওয়াগমা ইসমাইল, মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মখন মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী আফসর উদ্দিন প্রমুখ।
রাবেয়া খাতুন চৌধুরীকে নিয়ে কবিতা পাঠ করেন ডা. সৈয়দ আহমেদ। আলোচনা সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম। পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত এবং দোয়া পরিচালনা করেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ফজলে এলাহী মামুন।
লিডিং ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাওসার হাওলাদার’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বরেণ্য শিক্ষানুরাগী দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, প্রকৃতির নিয়মে বাধা আমাদের জীবন। সেই নিয়মের ভেতর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে প্রতিটি জীবন। তিনি বলেন, দুনিয়াতে চিরদিন কেউ থাকে না। একদিন আমিও থাকবো না। রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর মতো আমিও চলে যাবো। কিন্তু আমি চলে গেলেও সবগুলো প্রতিষ্ঠান যেন সুন্দরভাবে চলে, সেই প্রত্যাশা সবার কাছে আমার।
ড. রাগীব আলী আরো বলেন, এই প্রতিষ্ঠান শুধু আমার নয়, সবার। এখন যেভাবে আপনারা সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানগুলো চালিয়ে যাচ্ছেন, ভবিষ্যতেও একইভাবে চালিয়ে যাবেন। আমার কিংবা রাবেয়া খাতুনের জন্য নয়, মানুষের কল্যাণের জন্যই এই প্রতিষ্ঠানগুলো সুচারুরূপে পরিচালনা করতে হবে। কারণ আমার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই গড়া হয়েছে মানুষের মঙ্গলের জন্য। মানুষের জন্যই আমি আমার সবকিছু উৎসর্গ করেছি। এই চিন্তা-ভাবনা নিয়ে আমি প্রতিষ্ঠানগুলো করেছি, সেই চিন্তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে যাবো।
আলোচনার শুরুতে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন ও লিডিং ইউনিভার্সিটি প্রকাশিত মূল্যায়ন ও স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘পুণ্যবতী রাবেয়া’ এবং রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল প্রকাশিত ‘তুমি আলোর শতদল’ স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন দানবীর ড. রাগীব আলীসহ অতিথিবৃন্দ।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী আজিজুল মাওলা বলেন, মহীয়সী নারী রাবেয়া খাতুন চৌধুরীকে আমি কখনো দেখিনি। তারপরও মনে হয় উনার সাথে আমার অনেক দিনের পরিচিতি। আর সেই অনুভূতি তৈরি হয়েছে মরহুমার রেখে যাওয়া মানবকল্যাণমুখী প্রতিটি কর্ম থেকে। তিনি বলেন, মানবদরদী রাবেয়া খাতুন চৌধুরী আমাদের কাছে না থাকলেও তাঁর কর্ম পাশে রয়েছে। সেই কর্মের দ্বারা এদেশের বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথি জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আবেদ হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, কিছু কিছু মৃত্যু সমাজের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তেমনি এক মৃত্যু বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর। তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষ তাঁর কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকে। বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরীও তাঁর কর্মের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। তাদের হাতেগড়া প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এদেশের বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছে। ভবিষ্যতেও তারা উপকার পেয়ে যাবেন।
বিশেষ অতিথি জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এ. কে.এম. দাউদ বলেন, আমি কখনো ভাবি না রাবেয়া খাতুন চৌধুরী বেঁচে নেই। তিনি রেখে যাওয়া কাজের মধ্যে বেঁচে আছেন, যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন।
তিনি বলেন, বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী এবং দানবীর ড. রাগীব আলী যেখানে হাত দিয়েছেন, সেখানেই সফল হয়েছেন। কিন্তু তারা সফলতা ভোগ করছেন না, করছে মানুষ। তাদের প্রতিষ্ঠানের দ্বারা মানুষ আলোকিত হচ্ছে, সেবা পাচ্ছে।
জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. তারেক আজাদ চৌধুরী বলেন, বেগম রাবেয়া খাতুন ছিলেন একজন অনন্য মানুষ। মানুষের প্রতি তাঁর মায়া. দরদ, দানশীলতা আজও উদাহরণ হয়ে আছে। তিনি বলেন, ভালো কাজ কখনো বিফলে যায় না। রাবেয়া খাতুন চৌধুরী মানুষের কল্যাণের জন্য যা কিছু করে গেছেন, সেগুলো কখনো বিফলে যাবার নয়। যুগের পর যুগ মানুষ উপকার ভোগ করে যাবেন।
বিশেষ অতিথি দৈনিক সিলেটের ডাক-এর নির্বাহী সম্পাদক, বিশিষ্ট গবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, মানুষকে স্মরণ করার মধ্যে একটা তাৎপর্য আছে। ভালো কাজের মূল্যায়ন অন্যকে ভালো কাজের দিকে উৎসাহিত করে, অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, সমাজে এমন কোনো শাখা নেই, সেখানে রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর অবদান নেই। সেই কাজগুলো আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। মহৎ সেই কর্মের ভেতর দিয়ে তিনি আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সিলেট জেলার সভাপতি ও দৈনিক সিলেটের ডাক-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ বলেন, মরহুমা রাবেয়া খাতুন চৌধুরী প্রচুর সম্পত্তির মধ্যে থেকেও অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। তিনি সমাজের কল্যাণের পাশাপাশি ছিলেন নারী জাগরণেরও অগ্রদূত।
তিনি আরো বলেন, দানবীর ড. রাগীব আলীর বহু সাফল্য রয়েছে সিলেটসহ দেশের আনাচে কানাচে। সেই সফলতার পেছনে অবদান রয়েছে শিক্ষানুরাগী মরহুমা রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর। ড. রাগীব আলী শোককে শক্তিতে পরিণত করে মানুষের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।
বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক বলেন, রাবেয়া খাতুন চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক কিছু করে গেছেন। যেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন করছে। তবে একসময় যখন আজকের মতো মূল্যায়ন ছিলো না তখন রাগীব আলী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এখনো তিনি আমাদের পাশে আছেন।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র খলিল উদ্দিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, শুধু সিলেটে নয়, রাবেয়া খাতুন চৌধুরীর অনুপ্রেরণায় জকিগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনমান উন্নয়নে ড. রাগীব আলী অনেক কিছু করেছেন। যার সুফল এখনো আমরা পেয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ভালো কাজ, ভালো মানুষ মরে যাবার পরও কাজের মাঝে বেঁচে থাকেন।
বিশেষ অতিথি মোল্লারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ মকন মিয়া বলেন, দানবীর ড. রাগীব আলী এবং তাঁর স্ত্রী মরহুমা বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী কামালবাজারের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাদের হাত ধরে অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত এলাকা শিক্ষায় অগ্রসর হয়েছে, মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, বেগম রাবেয়া খাতুন চৌধুরী বেঁচে না থাকলেও মানুষ তাকে মনে রাখবে চিরদিন। কারণ তিনি মনে রাখার মতো কাজ করে গেছেন।
বিশেষ অতিথি দৈনিক কাজিরবাজার পত্রিকার কর্নধার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিক্ষানুরাগী আফসর উদ্দিন বলেন, রাগীব আলী নামটি একটি ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। এই নামের তাৎপর্য সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলতে হয় না। এটি একবাক্যে সবাই স্বীকার করেন। তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাদের ভালোবাসা সত্যিই প্রশংসনীয়। এজন্য ড. রাগীব আলীকে সম্রাট শাহজাহান এবং বেগম রাবেয়া খাতুনকে মমতাজের সাথে তুলনা করা যায়।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব ও লিডিং ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী, লিডিং ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ, প্রক্টর রানা এম. লুৎফুর রহমান পীর, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রউফ, রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দসহ লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সবার মধ্যে শিরনী বিতরণ করে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন এবং লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবার।