বিদেশি কূটনীতিকদের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের চিঠি, যা বললেন প্রতিমন্ত্রী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:১৮:৪৩ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান কার্যালয়ের সামনে গত ৭ ডিসেম্বর দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে সরকার ঢাকায় থাকা কূটনৈতিক মিশনগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গেল কয়েক দিন বিভিন্ন দূতাবাসে ভুল তথ্য সরবরাহ করেছেন বিএনপি নেতারা। প্রকৃত সত্য জানাতেই বিদেশি কূটনীতিকদের চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।’
চিঠিতে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেশে কোনো আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি নেই বলেও দাবি করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
গতকাল মঙ্গলবার উইমেন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (ডব্লিউজেএনবি) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠক শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় কূটনৈতিক মিশনগুলোতে ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের কারণও ব্যাখ্যা করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ ডিসেম্বর দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। সেদিন সেখানে তাদের পূর্বনির্ধারিত কোনো কর্মসূচি ছিল না। এমনকি পুলিশের অনুমতিও নেয়নি তারা। অবরোধের কারণে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় যান চলাচল চরমভাবে বিঘ্নিত হওয়ায় পুলিশ তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তা অগ্রাহ্য করে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা, ইটপাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তাদের বেপরোয়া হামলায় পুলিশের ৪৯ জন সদস্য আহত হন, যার মধ্যে একজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।
সেই ঘটনায় দুঃখজনকভাবে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় বেপরোয়া সহিংসতার পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। দলটির নেতাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা উচিৎ ছিল। কিন্তু তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না বরং তাদের উদ্দেশ্য ছিল অশান্তি সৃষ্টি করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনা। তাই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো রকম ঝুঁকি নেয়নি।
এতে আরও বলা হয়, যথাসময়ে পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে জনগণের জানমালের বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। বেপরোয়া সহিংসতার পরিকল্পনা ও পুলিশের ওপর হামলায় ইন্ধন থাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ওই দুই সিনিয়র নেতাসহ অন্যদের নামে চারটি মামলা রয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনায় তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।