বালাগঞ্জে চোখ উপড়ানোর মামলা অধিকতর তদন্তের নির্দেশ আদালতের
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:৩৬:২৩ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : সিলেটের বালাগঞ্জে চোখ উপড়ানোর চাঞ্চল্যকর মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলার ৮ নম্বর আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা জাহান গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ প্রদান করেন। পাশাপাশি চোখ হারানো আব্দুল হামিদের ফের মেডিকেল সার্টিফিকেট (এমসি) দেওয়ার লক্ষ্যে ৩ সদস্যের বোর্ড গঠনের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশে চাঞ্চল্যকর মামলাটি পিবিআই সিলেটকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ৩০ এপ্রিল বালাগঞ্জ থানার খুজগিপুর গ্রামে চোখ উপড়ানোর লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে।
জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে বালাগঞ্জের খুজগিপুর গ্রামের আব্দুল বারিক খাজুরের পুত্র আসুক মিয়া, আব্দুল মন্নানের পুত্র আব্দুল কুদ্দুছ এহিয়া এবং তার সহযোগীরা একই গ্রামের আব্দুল হামিদের (৩২) উপর হামলা করে। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আব্দুল হামিদকে কুপিয়ে ও শাবল দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখমের পাশাপাশি তার দু’চোখ উপড়ে ফেলে। তাকে রক্ষায় এগিয়ে আসা স্ত্রী-সন্তানসহ আরও কয়েকজনকে গুরুতর জখম করে। সিলেটে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সম্ভব না হওয়ায় ঘটনার দিন রাতেই চিকিৎসার জন্য আব্দুল হামিদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকাস্থ জাতীয় চক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট হাসপাতালে রেফার করা হলেও তার চক্ষু দুটো না থাকায় তার আর দৃষ্টিশক্তি ফেরানো সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আব্দুল হামিদের ভাই আব্দুর রকিব বাদী হয়ে ৮ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করে গত ১ মে বালাগঞ্জ থানায় একটি মামলা [নং-০১(৫)২২] দায়ের করেন।
মামলার আাসামীরা হলেন- সিলেটের বালাগঞ্জের খুজকিপুর গ্রামের আব্দুল বারিক খাজুরের পুত্র আসুক মিয়া, আব্দুল কুদ্দুছ এহিয়া, আব্দুল ছত্তার লেবু, জামাল মিয়া, সুজন মিয়া, নিরু মিয়া, হায়দর রাজা এমরান ও আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন।
মামলাটি তদন্ত করে বালাগঞ্জ থানার এসআই রাহুল রায় জনি গত ১০ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে এফআইআর-এর ৩২৫ ধারা ও আসামী আব্দুল ছত্তার লেবুর নাম বাদ দিয়ে দেন।
চার্জশিট ও আহতের মেডিকেল সার্টিফিকেট যথাযথ হয়নি এবং মানিত সাক্ষীদের বাদ দিয়ে চার্জশিটে আসামী পক্ষের লোকদের সাক্ষী করা হয়েছে, এই মর্মে অভিযোগ এনে মামলার বাদী আব্দুর রকিব আদালতে নারাজি দাখিল করেন। শুনানী শেষে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটকে নির্দেশ দেন।