পদ্মার ওপর দিয়ে সঞ্চালন লাইন আজ চালু, আসবে পায়রার বিদ্যুৎ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:৫৫:৩৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে সঞ্চালন লাইনের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হচ্ছে আমিনবাজার-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) একাধিক কর্মকর্তা।
পিজিসিবির কর্মকর্তারা বলছেন, এরই মধ্যে সঞ্চালন লাইন চালু করতে আনুষঙ্গিক বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপনের কাজও সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে, লাইনটি চালুর বিষয়ে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে পিজিসিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ দুপুর ১২টায় চালু করা হবে সঞ্চালন লাইনটি। ৪ লাখ ভোল্টেজ দিয়ে চালু করে লাইনটি উচ্চ ভোল্টেজে ৪০০ কেভিতে বিদ্যুতায়িত থাকবে। এ সময় সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারে আরোহণ, গবাদি পশু বাঁধা, রশি টাঙিয়ে কাপড় ঝোলানো থেকে বিরত থাকতে আহ্বান করে পিজিসিবি।
পদ্মায় সঞ্চালন লাইনের কাজ এমন সময় শেষ হলো, যখন বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর তোড়জোড় চলছে। চলতি মাসের শেষ দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট (৬৬০) মেগাওয়াট সম্ভাব্য বাণিজ্যিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগোচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল)।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনটি মূলত ‘আমিনবাজার-মাওয়া-মোংলা ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন’ প্রকল্পের অংশ। ১৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সঞ্চালন লাইনটিতে মোট ৯ দশমিক ৪ কিলোমিটার নদী ক্রসিং রয়েছে। যার মধ্যে আছে পদ্মা নদী ক্রসিং। লাইনটি নির্মাণের উদ্দেশ্য হলো, রামপাল ও পটুয়াখালীর পায়রায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ ঢাকায় নিয়ে আসা।
এই সঞ্চালন লাইন নির্মাণে মোট ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) দিয়েছে এক হাজার ২৭০ কোটি টাকা, সরকারের সহায়তা ৮৯৭ কোটি টাকা এবং পিজিসিবির নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে ৩৩৭ কোটি টাকা।