কেমুসাস বইমেলায় আবৃত্তি প্রতিযোগিতা
শিশুদেরকে সৃজনশীল কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করতে অভিভাবকদের ভূমিকা রয়েছে —আবদুল হামিদ মানিক

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে দেশের ঐতিহ্যবাহী ও অন্যতম প্রাচীন সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের ষোড়শ কেমুসাস বইমেলার পঞ্চম দিন অতিবাহিত হয়েছে। বইমেলার পঞ্চম দিন গতকাল বুধবার বিকেল তিনটায় ‘বিশেষ’ ও ‘ক’ গ্রুপের শিশুদের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট গবেষক ও কেমুসাসের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, শিশুদেরকে সৃজনশীল কর্মকান্ডে বেশি করে সম্পৃক্ত করতে অভিভাবকদেরকে ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশেষ করে কবিতা আবৃত্তির মতো একটি শিল্প নিয়ে আলোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, আবৃত্তি হচ্ছে, শব্দ-বর্ণের সঠিক অর্থ-মেজাজ বিবেচনা করে সঠিকভাবে উচ্চারণ। এ বিষয়টি আমাদের শিশুদেরকে অনুধাবন করাতে অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে।
কেমুসাস-র সহসভাপতি ও বইমেলা উপকমিটির আহবায়ক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং কেমুসাসের সহ পাঠাগার সম্পাদক ইছমত হানিফার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক লাইব্রেরি সেক্রেটারি এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি, নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের।
আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ‘বিশেষ’ বিভাগে আদ্রীজা পাল অরা প্রথম নাফিসা জাহান চৌধুরী দ্বিতীয় ও মানজুবা মাহিরা তৃতীয় স্থান এবং ‘ক’ বিভাগে আবদিনা ওয়ারদা করিম প্রথম ফারজাম আজওয়াদ দ্বিতীয় ও জুরাইরাহযিকরাওয়াফা তৃতীয় স্থান অধিকার করে। সন্ধ্যায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কবিতাপাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে লেখক-কবি-সাহিত্যিকরা অংশগ্রহণ করেন।
ষোড়শ কেমুসাস বইমেলার কর্মসূচি অনুযায়ী আজ ১৫ ডিসেম্বর ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ গ্রুপের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও স্বরচিত কবিতাপাঠের আয়োজন করা হয়। ১৫ ডিসেম্বরের খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ গ্রুপের আবৃত্তি প্রতিযোগিতা বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে।-বিজ্ঞপ্তি।