সিলেট জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা
বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করা হয়েছিল —— বিভাগীয় কমিশনার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:২১:৩৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক: সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শত্রুরা এখনও সক্রিয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করে স্বাধীনতা ঠেকাতে না পেরে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদেরকে হত্যা করেছিল। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে একের পর এক চক্রান্ত করে যাচ্ছে; কিন্তু সকল চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলার পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার সকালে সিলেট জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো নিশারুল আরিফ, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, আওয়ামী লীগের মহানগর সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো মামুনুর রশীদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তৌছিফ আহমদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ এস এম কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূঞা, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শত্রু যখন নিশ্চিত হয়ে যায় পরাজয় আসন্ন; তখনই দেশসেরা মেধাবী হত্যায় মেতে উঠে। একাত্তরে বাংলাদেশে তাই ঘটেছিল; কিন্তু বাঙালি জাতি থেমে যায়নি-স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এসএমপি কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ বলেন, স্বাধীনতার শত্রুরা জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতেই কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, আইনজীবী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও বিজ্ঞানীদের হত্যা করে।
সহকারী কমিশনার মো. মাহবুবুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার সাদিয়া বিনতে সোলায়মান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।