লঙ্ঘন নয়, আওয়ামী লীগ দেশে মানবাধিকারের সুরক্ষা দেয়: প্রধানমন্ত্রী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৪০:০১ অপরাহ্ন
![লঙ্ঘন নয়, আওয়ামী লীগ দেশে মানবাধিকারের সুরক্ষা দেয়: প্রধানমন্ত্রী লঙ্ঘন নয়, আওয়ামী লীগ দেশে মানবাধিকারের সুরক্ষা দেয়: প্রধানমন্ত্রী](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2021/01/sylheterdak-5-768x406.jpg)
ডাক ডেস্ক : যারা বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে, তাদের জবাব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়। আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। আওয়ামী লীগ দেশের সমস্যা সমাধান করে। মানুষের জন্য কাজ করে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রশ্নে বিএনপির নাম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা খুনিদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়ে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না? আমি নিজেও বলতে পারি আমার মানবাধিকার কোথায় ছিল? কেন আমি বাবা-মায়ের লাশ দেখতে পাইনি। কেন খবর পাইনি। কেন আমাকে ৬ বছর দেশে আসতে দেয়নি। কেন রেহানার পাসপোর্ট জিয়াউর রহমান রিনিউ করতে দিলো না। সে জবাব কি তারা দেবে? কোন সন্ত্রাসী, কোন জঙ্গি, কোন ড্রাগ ডিলার মারা গেছে তাদের মানবাধিকার নিয়ে ব্যস্ত। এরা যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তার কোনও কথা নেই।’
তারা খুনিদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত
আমেরিকা ও কানাডায় থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত না দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘খুনি রাশেদ এখন আমেরিকায়। বারবার আমরা অনুরোধ করছি ওই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দিন। সেই সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দেয় না। খুনির মানবাধিকার রক্ষা করছে তারা। অর্থাৎ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীকে তারা রক্ষা করছে। মেজর নূর এখন কানাডায়। বারবার অনুরোধ করলেও কানাডা সরকার ফেরত দেয় না। খুনিদের মানবাধিকার রক্ষা করতে তারা ব্যস্ত। তাহলে আমরা যারা স্বজন আপনজন হারিয়েছি, আমাদের অপরাধটা কী? আমি জাতির কাছে জিজ্ঞাসা করি বিএনপি বা জামায়াতের জন্য যারা হাপিত্যেশ করে, কান্নাকাটি করে, তারা জবাব দিক।’
বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘আমার আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে না? কত নেতাকে গুম করেছে না? বহু লোককে অত্যাচার করেছে। এমনভাবে অত্যাচার করেছে যে বেশি দিন আর বাঁচতে পারেনি।’
জিয়া পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত লাগিয়ে রেখেছিল
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত লাগিয়ে রেখেছিল। ছিয়াত্তর সাল থেকে সংঘাত শুরু হয়। শান্তিচুক্তি করে আমরা অস্ত্রসমর্পণ করাতে সক্ষম হই। খালেদা জিয়া বাধা দিয়ে হরতালও ডেকেছিল যাতে অস্ত্রধারীরা অস্ত্রসমর্পণ করতে না পারে।
খালেদা জিয়ার ন্যায্যবিচার হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য খালেদা জিয়ার ন্যায্যবিচার হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আমরা কিন্তু মামলা দেইনি। মামলা দিয়েছিল তারই প্রিয় মইন উ আহমেদ, ফখরুদ্দিন আহমেদ আর তার ইয়েস উদ্দিন। মামলা হয়েছে। সাজা পেয়েছে। আওয়ামী লীগের দোষ দিয়ে তো লাভ নেই। বরং আমার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া ১২টি মামলা দিয়েছিল। এরপর মইন উ আহমেদ, ফখরুদ্দিন আহমেদ-ইয়েস উদ্দিন এসে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিলো। আমার একটা মামলাও নির্বাহী আদেশে নিষ্পত্তি হয়নি। প্রত্যেকটি মামলা তদন্ত করে কিছু পেলে বিচার করতে বলেছি। না হলে ডিসমিস করতে বলি। প্রত্যেকটি মামলার তদন্ত হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে তো কিছু পায়নি। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে কানাডার ফেডারেল আদালতও তদন্ত করে কিছু পাইনি।’