জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আলোচনা সভা
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা——-অধ্যাপক ডা. আবেদ হোসেন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৩১:০৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের প্রথম বেসরকারি মেডিকেল কলেজ জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবেদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা হঠাৎ কোন ঘটনা নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জাতি স্বাধীনতার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানীরা বাঙালির উপরে ইতিহাসের বর্বরোচিত গণহত্যা চালায়। সেই রাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে শুরু হয় সশস্ত্র যুদ্ধ। ধীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি আমাদের কাঙ্খিত ও বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা। তিনি বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। আজকের দিনে আমরা শ্রদ্ধার সাথে তাদের স্মরণ করি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ার শপথ গ্রহণ করি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গ্যালারি-১ এ ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ও অর্থপেডিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইরাস সাকিবার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজিত রঞ্জন দেব, গাইনী এন্ড অবস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নমিতা রানী সিনহা, হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আরমান আহমদ শিপলু।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা আজকের বাংলাদেশ পেতাম না। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যেই স্বাধীনতা বিরোধীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেছে। তারা দেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ করতে তারা স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী কার্যক্রম শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর কন্য শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সাধারণ মানুষ জানতে পেরেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তারা বলেন, এখনো স্বাধীনতা বিরোধীরা নানা ভাবে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়ায় সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাবেন। বক্তারা বক্তবে শুরুতে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, ১৫ আগস্টের সকল শহীদ, জাতীয় ৪ নেতাসহ স্বাধীনতার যুদ্ধে সকল শহীদকে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংঙ্গীতের মাধ্যমে সকলে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
মেডিকেল কলেজের ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস তানিহা ও সামন্ত দেবনাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, এনাটমি বিভাগের প্রভাষক ডা. সাদমান সাকিব, ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. মাহবুব হোসেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম শাওন। আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয় এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।