শাহজালাল রাগীব-রাবেয়া প্রতিবন্ধী ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভা
প্রতিবন্ধী শিশুরাও সমাজেরই অংশ —–দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:২৮:৪১ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতার কল্যাণে নিবেদিত রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী বলেছেন, প্রতিবন্ধী শিশুরা কোনভাবেই সমাজের বোঝা নয়, তারা এই সমাজেরই অংশ। প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও সুযোগ-সুবিধা পেলে তারাও সম্পদে পরিণত হতে পারে।
গত শুক্রবার সকালে শাহজালাল রাগীব-রাবেয়া প্রতিবন্ধী ইনস্টিটিউটের আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হেপী রানী দে’র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট টি প্ল্যান্টার , বহু শিক্ষা ও সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর ড. রাগীব আলী আরো বলেন, কোনো শিশুর অটিজম নির্ণয় হলে অতিদ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। পাশাপাশি পরিবারের সবার সচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে। শিশুটির সঙ্গে কথা বলার মাঝে, পড়ানোর সময়, সামাজিক বন্ধনে, খেলাধুলার মাঝেও বিভিন্ন বিষয় শেখাতে হবে। হাসি-খুশিতে রাখতে হবে সব সময়। অটিজম আক্রান্ত শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সব রকম প্রচেষ্টা চালানোর ওপর জোর দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার ও জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও দৈনিক সিলেটের ডাক এর সম্পাদক আব্দুল হাই এবং রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী।
রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের ট্রেজারার আব্দুল হাই বলেন, অটিস্টিক শিশুর মধ্যে কোনো না কোনো প্রতিভা বা বিশেষ গুণ লুকিয়ে আছে। নিবিড় পরিচর্যা করলে তারা সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। একই সঙ্গে তাদের সুপ্ত গুণাবলীও প্রকাশ পায়। তাই অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সর্বদা মমতা ও স্নেহের পরশ বুলিয়ে দিতে হবে।
বিশেষ অতিথি রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মেজর (অব.) শায়েখুল হক চৌধুরী বলেন, অটিজম বা অটিস্টিক বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে একটি বহুল আলোচিত শব্দ। অটিজম সাধারণত বংশগত বা মানসিক রোগ নয়, এটা স্নায়ুগত বা মনোবিকাশজনিত সমস্যা। এ সমস্যাকে ইংরেজিতে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে অটিজম নিয়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বজুড়েই নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সবার মধ্যে বেড়েছে সচেতনতা। বাংলাদেশেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, অটিজম আক্রান্তরা নানাভাবে ভূমিকা রেখে চলেছেন।
সাহনাজ আক্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সত্যজিৎ ভট্টাচার্য, মীরা রানী দাস, অর্চনা চক্রবর্তী, স্নিগ্ধা চক্রবর্তী, মোছাম্মৎ রিপা বেগম, সুপ্তি রানী দাশ উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনষ্ঠানে গান ও নাচে অতিথিদের মুগ্ধ করে প্রতিবন্ধী শিশুরা।