সিলেটে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ শুরু
কৈশোরকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসনে পরিবার ও সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ——-যুগ্ম সচিব মো. কুতুব উদ্দিন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ৫:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ‘সময়মতো নিলে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্যের হবে উন্নতি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল শনিবার থেকে সিলেটেও শুরু হয়েছে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। দিবসের প্রথম দিন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ কার্যালয়ে দু’শতাধিক কিশোর-কিশোরীর জন্য প্রজনন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সিলেট এর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন বলেছেন, কিশোর-কিশোরীর বয়ঃসন্ধিকাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত কৈশোরকালে ঝুঁকি হলো বন্ধু-বান্ধবদের চাপে পড়ে তারা বিপজ্জনক কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে। প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে তাদের নানা ধরনের রোগের সংক্রমণ আশঙ্কাও রয়েছে। কাজেই, তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে কিশোর-কিশোরীদের যেমন সচেতন হওয়া প্রয়োজন, তেমনিভাবে মা-বাবা, পরিবার ও সমাজের সবাইকে তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে।
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সিলেটের উপ পরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক তপন কান্তি ঘোষ, রিজিওনাল কনসালটেন্ট ডা. এম এ মান্নান, সিলেট সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল মনসুর আসজাদ, মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ সাদিক মিয়া, জেলা পরিষদ সদস্য মোছাদ্দিক আহমদ, ডা. বিশাল পাল, এফপিএবির জাকিরুল ইসলাম, সাংবাদিক আনাস হাবিব কলিন্স প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মেরী স্টোপস এর প্রোগ্রাম অফিসার মোহন লাল দাস, টুকেরবাজার ইউপি সদস্য আবুল কাসেমসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি ও শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন বলেন, বয়ঃসন্ধি এমন একটা পর্যায়, যখন একটি শিশু একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হয়ে ওঠে। এ সময়ই মানুষের মধ্যে প্রজনন ক্ষমতা তৈরি হয়। এ সময় ছেলেমেয়ের মধ্যে বড় ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে, যে কারণে তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হয়। বয়ঃসন্ধিকালীন সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের সক্ষমতা বিকাশের সুযোগ করে দিতে পারলে সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে যে সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে তার মধ্যে রয়েছে- পরিবার পরিকল্পনা সেবা, স্বাভাবিক ও জরুরি প্রসব সেবা, প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা সেবা, গর্ভবতী সেবা, নবজাতক ও শিশু সেবা, কৈশোরকালীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা ইত্যাদি। এছাড়া, পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের কল সেন্টার সুখী পরিবারের ১৬৭৬৭ নম্বরে যোগাযোগ করে বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করা যায় বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।