ক্যালিগ্রাফিকে বাঁচিয়ে রাখতে কেমুসাসের উদ্যোগ প্রশংসনীয় ——ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:০৩:০৯ অপরাহ্ন
কেমুসাস বইমেলার অষ্টম দিনে ব্যতিক্রমী দ্যোতনায় ভরপুর ছিল উপমহাদেশের প্রাচীনতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণ। বইমেলার আমেজের দিনগুলো যতই কমে আসছে, ততই বাড়ছে পাঠকদের ভিড়। লেখক-লেখিকা ছাড়াও কেমুসাস প্রাঙ্গণে বিচরণ ঘটেছে পাঠক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের। গত শনিবার বিকেল তিনটায় ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধকের বক্তব্যে কেমুসাস ভাষাসৈনিক মতিন উদ-দীন আহমদ জাদুঘরের পরিচালক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার বলেন, ক্যালিগ্রাফি একটি উঁচুমার্গের শিল্প। এটি অনেক পুরনো। তবে আস্তে আস্তে বিলুপ্ত ঘটতে যাচ্ছে। ক্যালিগ্রাফির মতো এই পুরোনো শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা।
কেমুসাসের সহসভাপতি ও বইমেলা উপকমিটির আহবায়ক অধ্যাপক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং উপকমিটির সদস্যসচিব মাহবুব মুহাম্মদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেমুসাসের কোষাধ্যক্ষ এডভোকেট আব্দুস সাদেক লিপন, কবি আনোয়ার হোসেন মিসবাহ, সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যক্ষ ছয়ফুল করিম চৌধুরী হায়াত।
ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপে সামিরা সাদেক লিয়া প্রথম, মোঃ মনজুরুর রহমান শাহান দ্বিতীয়, সাওমা হক তৃতীয় এবং ‘খ’ গ্রুপে রাইসা আমিন চৌধুরী প্রথম, রহিমা আক্তার দ্বিতীয় এবং জাহিদুল ইসলাম তৃতীয় স্থান অধিকার করে। আজ সোমবার ‘ক’, ‘খ’ ও ‘গ’ গ্রুপের ক্বিরাত প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যে সাড়ে ৫টায় বইমেলা মঞ্চে সাইক্লোন কেন্দ্রীয় সংসদের আয়োজনে কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি প্রতিযোগিতা বিকেল তিনটায় শুরু হবে। আগামী ২০ ডিসেম্বর সমাপনী, পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এগারো দিনব্যাপী বইমেলার আয়োজন সমাপ্ত হবে।